পটুয়াখালী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া ১১টি মাছ ধরার ট্রলারের দেড় শতাধিক জেলের মধ্যে ১২৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৩৪ জন। নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি চরফ্যাশন ও কলাপাড়া উপজেলার আলীপুর মৎস্য বন্দর এলাকায়।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে এসব ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে স্থানীয় জেলে ও কোস্টগার্ড সদস্যরা।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো হলো- এফবি মামনি (৩), এফবি সাইফুল, এফবি আল মামুন, এফবি কুলসুম, এফবি রফিক মাঝি, এফবি নুরবানু ও এফবি মায়ের দোয়া। এছাড়া ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় একটি, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টির একটি, কলাপাড়া কলাপাড়া লালুয়ার একটি ও বরগুনার নাপিতা এলাকার একটি ট্রলার ডুবে যায়।
শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা ও মহিপুর আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
উদ্ধারকৃত জেলে মো. জাফর মিয়া বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে আমাদের আশপাশের কয়েকটি ট্রলার ডুবে যায়। আমরা প্লাস্টিকের ড্রাম ধরে ভেসেছিলাম। পরে অন্য জেলেরা আমাদের উদ্ধার করেছে।’
আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘উত্তাল সমুদ্রে ঝড়ের কবলে পড়ে এ পর্যন্ত ১১টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এসব ট্রলারে থাকা ১২৬ জেলেকে উদ্ধার করা হলেও ৩৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ জেলে এফবি কুলসুম ট্রলারে ছিলেন। ১৮ জেলে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারে ছিলেন। এছাড়া এফবি রফিক মাঝি ট্রলার ডুবে রফিক মাঝি ও মোহাম্মদ (৩) নামে একটি ট্রলার ডুবে জেলে বাবুল মিয়া নিখোঁজ হন। উদ্ধারকৃত জেলেদের কুয়াকাটা ও মহিপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে কোস্টগার্ড।