সরকারকে বছরে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, সারসহ বিভিন্ন খাত মিলিয়ে ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয় বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়া এবং দেশে জ্বালানি তেলে ভর্তুকির বিষয় তুলে ধরতে গিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্ববাজার থেকে ডিজেল কিনে আনতে হয়। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে বলেই বাংলাদেশেও তেলের দাম বাড়াতে হয়েছে। কিন্তু, তারপরও অনেক খাতে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।
আজ বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে গণভবনে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুধু ডিজেলে আমরা ২৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেই। আর বিদ্যুৎ এবং আনুষঙ্গিক সবকিছু মিলিয়ে মোট ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে থাকি। বিদ্যুতে কৃষককে বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকি’।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আমরা কত টাকা ভর্তুকি দেব? বাজেটের সব টাকা তাহলে ভর্তুকিতে দিয়ে দেবো? তাহলে কিন্তু সব উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে’।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাস্তবতা আপনাদের বুঝতে হবে। মানুষের যেন খাদ্যের কষ্ট না হয় সেদিকে আমাদের নজর আছে’।
প্রধানমন্ত্রী এসময় তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন করোনার কারণে বাস লঞ্চ এসব চলাচল বন্ধ ছিল। যারা এই ব্যবসা করেন তাদেরও তো কষ্ট ছিল, তাদেরও লোকসান ছিল। প্রণোদনা দিয়ে তাদের ব্যবসা যেন চালু থাকে, সে ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের সাথে বৈঠক ও আলোচনার মাধ্যমে একটা সমঝোতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বাসের ভাড়া একটা যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে’।
এ সময় গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে দুই সপ্তাহের সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।
সংবাদ সম্মেলনটি বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।