fbpx

বনজ কুমারের মামলায় একদিনের রিমান্ডে বাবুল আক্তার

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ ১০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আগের দিন বাবুল আক্তারের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পিবিআই। আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হলে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন সকালে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে বাবুল আক্তারকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গতকাল বুধবার মামলার সুষ্ঠু তদন্তসহ তিনটি কারণে দেখিয়ে বাবুল আক্তারের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলাম। পরে আদালত আসামির উপস্থিতিতে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের তারিখ ধার্য করেন।

তিনটি কারণে সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের রিমান্ড চায় পুলিশ। তা হলো,

  • বাবুল আক্তার কারাগারে থাকাকালে কীভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপাত্ত বিদেশে থাকা আসামি ইলিয়াসের কাছে সরবরাহ করেছে এবং কার কার সঙ্গে কথা বলেছেন তা জানার জন্য।

 

  • বাবুল আক্তার কার প্ররোচনায় মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকার্য ব্যাহত করার জন্য ভিডিও প্রকাশে সহযোগিতা করেছে, উক্ত প্ররোচনাকারী ব্যক্তির নাম, ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেফতারের জন্য।

 

  • বাবুল আক্তার কারাগারে থাকাকালে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে বাদীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মানহানিকর ভয়েস রেকর্ড প্রস্তুত করেছে কি-না, ভিডিওতে থাকা ভয়েস রেকর্ডে বাবুল আকতার বাদী বনজ কুমারের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন মর্মে শোনা যায়, সেই ভয়েস রেকর্ডে থাকা কণ্ঠস্বর বাবুল আকতারের কি-না, বা ভয়েস রেকর্ডের অন্য প্রান্তে কে ছিল তা জানা প্রয়োজন। মামলাটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে অত্র মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. বাবুল আক্তারকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাতদিনের পুলিশ রিমান্ডে প্রদানের আদেশ দানে মর্জি হয়।

 

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply