সিলেট এলাকায় বন্যার পানি যাতে দ্রুত সরে যেতে পারে, সে জন্য কয়েকটি রাস্তা কেটে ফেলা হয়েছে। দেশের আরও কোথাও প্রয়োজন হলে রাস্তা কেটে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
রবিবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর এবং চট্টগ্রাম সিটির জলাবদ্ধতা নিরসন ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে এক সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট-সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা সম্পর্কে তাজুল ইসলাম জানান, বন্যা এতো ভয়ঙ্কর রুপ নেবে এটা সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থা পূর্বাভাস দিতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যাদূর্গত এলাকায় মানুষের কাছে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট এবং অন্যান্য জরুরী সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে এবং ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সরকারের সবধরনের প্রস্তুতি আছে বলে জানান মন্ত্রী। এছাড়া যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলা করার সার্মথ্য সরকারের আছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের অধীন খালগুলো খনন/পুনঃখনন করা হয়েছে। অনেক খাল দখল হয়েছিল, সেগুলো সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দখলমুক্ত করে পানি চলাচলের উপযোগী করে তুলেছেন। যার সুফল নগরবাসী পাওয়া শুরু করেছে। আগের তুলনায় এখন জলাবদ্ধতা অনেক কমেছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসার নিকট থেকে পাওয়া খালের পাশাপাশি দুই সিটি কর্পোরেশন অনেকগুলো খাল দখলমুক্ত করেছে। অনেক বড় বড় ভবন, মার্কেট, বাস-ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সাড়ে ছয় একর এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন প্রায় পঁচিশ একর জমি উদ্ধার করেছে। অবৈধ দখল অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নতুন ওয়ার্ড ও নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা ও অবকাঠামো উন্নয়নে ইতোমধ্যে চার হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে প্রকল্প পাশ করা হয়েছে এবং কাজ চলমান রয়েছে। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনও নতুন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। আমি আশা করি সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।
ডেঙ্গু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গুর বিষয়ে বছরের প্রথম থেকেই কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। এবারও সেটি করা হয়েছে। আমাদের সকল প্রস্তুতি উভয় মেয়র নিয়ে রেখেছেন। যে সমস্ত কীটনাষক, ঔষধ, যন্ত্রপাতি এবং জনবল দরকার তা তাদের কাছে মজুদ আছে।
সারাবিশ্বে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্তদের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরে ১১ হাজার ৬৭৪ জন, মালয়েশিয়ায় ১৩ হাজার ৬৫১ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ২২ হাজার ৩৩১ জন, থাইল্যান্ডে আছে ১ হাজার ৫৮৪ জন, ফিলিপাইনে ৩৬ হাজার ৯৩৮ জন, ভারতে ৮ হাজার ২৭৮ জন। আর আমাদের দেশে ৭৩০ জন। সার্বিক পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে আমরা এসব দেশ থেকে অনেক ভালো অবস্থানে আছি। তবে এর মানে এই না যে আমরা বসে থাকবো। আমাদের সব প্রস্তুত নেয়া আছে। মানুষকে সচেতন করতে মিডিয়াতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।