শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বন্যায় অনেক শিক্ষার্থীর বই হারিয়ে গেছে। তাদের কাছে বই পৌঁছে দেওয়ার অন্তত ২ সপ্তাহ পরে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসএসসি পরীক্ষা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা খোঁজ রাখছি নিয়মিত। এখনো কিছু কিছু এলাকায় শহর থেকে পানি নেমে গেছে, একদম গ্রাম পর্যায়ে এখনো হয়তো কোথাও কোথাও আছে। সেটাও হয়তো নেমে যাবে। কিন্তু বেশ কিছু জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য আসছে আমাদের অনেক পরীক্ষার্থীর বইপত্র…স্বাভাবিক, ওই বন্যার মধ্যে লোকে তার একেবারে গুরুত্বপূর্ণ যা জিনিস সেটা নিয়ে, কোনো রকমে জানটুকু নিয়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন অনেকে কোনোমতে। সেখানে বই নিয়ে আসার হয়তো সুযোগ হয়নি।
দীপু মনি বলেন, আমরা এখন পুরোটা অ্যাসেস করছি আমাদের কত পরীক্ষার্থীকে নতুন করে বই দিতে হবে। আমাদের কাছে প্রতি বছর কিছু বাফার স্টক থাকে। এ রকম একটা বড় অঞ্চল নিয়ে বন্যা হয়ে পরীক্ষার্থী বই হঠাৎ এই পর্যায়ে হারিয়ে যাবে সেই রকমটা আসলে আমাদের বিবেচনায় ছিল না। আর সেটা প্রতি বছর রাখা হয়তো সম্ভবও না।
আমরা দেখছি, হিসাব করছি। যদি প্রয়োজন হয় আমরা নতুন বই ছাপিয়েও ফেলবো। তারপরও আমরা পরীক্ষার্থীদের হাতে তাদের বইগুলো পৌঁছে দেবো, যাদের বই নষ্ট হয়েছে। তাদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়ার পরে অন্তত ২ সপ্তাহ সময় দিতে হবে, তারা বিরাট একটা ট্রমার মধ্যে দিয়েও গেছে। ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হয়েছে। অনেক পরিবার নিঃস্বপ্রায় হয়ে গেছে এই সময়ে। এটা হলো আমাদের মোটামুটি টাইমলাইন। সেটা গিয়ে কোন মুহূর্তে ঠেকবে সেটা বলা সম্ভব না, বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিশুদের ভ্যাকসিনের বিষয়ে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলবো। সেই বিষয়টা নিশ্চিত হওয়ার পরে আমরা পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে চিন্তা করতে পারবো। এটা ঠিক সংক্রমণ আবার বাড়ছে। আমাদের সবাইকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। আমাদের ১২’র উপরে সবার তো ভ্যাকসিন দেওয়া আছে। ১২’র নিচে যদি ভ্যাকসিনটা দিয়ে ফেলতে পারি, তাহলে হয়তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রয়োজন হবে না। আমরা চাচ্ছি যতটা সম্ভব স্কুল খোলা রেখেই আমরা আমাদের সমস্যাগুলো সমাধানের দিকে যাব। কাজে এই মুহূর্তে আমরা স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছি না। বরং অনেক বেশি সচেতন থেকে, স্বাস্থ্যবিধি অনেক বেশি মেনে চলে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছি। তবে এটাও বলবো সব কিছু নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। সব শেষে গিয়ে কিন্তু আমার শিক্ষার্থী বা তার পরিবারের কিংবা শিক্ষকের জীবন সেটি নিশ্চয়ই আমাদের কাছে জরুরি।