সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ সারাদেশে চলমান বন্যায় মোট ৬৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টাতেই মারা গেছেন ২৬ জন। বন্যাজনিত দুর্ঘটনা ও বিভিন্ন রোগে এদের মৃত্যু হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে বন্যায় গত ১৭ মে থেকে ২৩ জুন দুপুর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ২৬ জন। মৃত্যুর পাশাপাশি বন্যা উপদ্রুত এলাকায় দ্রুত বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৬৪৫ জন।
৬৮ জনের মধ্যে পানিতে ডুবে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বজ্রপাতে মারা গেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২২ জুন (বুধবার) পর্যন্ত বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে ৩ হাজার ৪০৩ জন আক্রান্ত থাকলেও ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তা বেড়ে ৪ হাজার ৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। বন্যার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৯৫ জন। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৮ জন।
এছাড়া বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন চার জন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ১৭ মে থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত বন্যায় রংপুর বিভাগে ৪, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮ ও সিলেট বিভাগে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলাভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সুনামগঞ্জ। ১৭ মে থেকে ২৩ জুনের মধ্যে এখানে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। সিলেট জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও জামালপুর জেলায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচজন করে। মৌলভীবাজার, কুড়িগ্রাম ও শেরপুরে ৩ জন করে ও লালমনিরহাটে একজন মারা গেছেন।
