fbpx

বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পেল টাঙ্গাইল শাড়ি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে টাঙ্গাইল শাড়ি । শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে’ স্বীকৃতি দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এই স্বীকৃতির গেজেট প্রকাশিত হবে বলে জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার দে‌শের প্রাচীন ঐতিহ্য টাঙ্গাইল তাঁত শাড়ির জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল আডেন্টিফিকেশন) স্বত্ব পেতে আবেদন করে জেলা প্রশাসন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এ আবেদন ক‌রেন জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম।

গবেষকদের মতে, টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপত্তি বাংলাদেশে। এর নামের মধ্য দিয়েই তা উঠে এসেছে। ইতিহাসও টাঙ্গাইল শাড়িকে বাংলাদেশের বলে সাক্ষী দেয়। বাংলাদেশের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ হওয়ায় টাঙ্গাইলের ছেলেরা পরিধেয় বস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে লুঙ্গি-গামছা। এ অঞ্চলের মেয়েরা পরিধান করে শাড়ি, যা টাঙ্গাইল শাড়ি হিসেবে পরিচিত হয়েছে। টাঙ্গাইল অঞ্চলটি যখন থেকে গড়ে ওঠে তখন থেকেই এ শাড়ি তৈরি শুরু হয়। এ শাড়ির নাম থেকেই এর উৎপত্তি বোঝা যায়।

এর আগে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। এ নিয়ে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ বৃহস্পতিবার একটি পোস্টও দেওয়া হয়।

ওই পোস্টে দাবি করা হয়েছিল, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত। এটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রঙ এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত। এটি এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। টাঙ্গাইলের প্রতিটি শাড়ি ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সৌন্দর্যের মেলবন্ধনে দক্ষ কারুকার্যের নিদর্শন। ’

ওই ফেসবুক পোস্টের নিচে হাজারো বাংলাদেশি প্রতিবাদ জানান। সবারই একটিই প্রশ্ন ছিল, টাঙ্গাইল শাড়ি কীভাবে ভারতের হয়? ভারত কীভাবে এ দাবি করে? শেষ পর্যন্ত তবে বিতর্কের জেরে পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply