যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান সিয়ার্স এর বিরুদ্ধে ৪ কোটি ডলারের মামলায় বিরল জয় পেয়েছে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক সরবরাহকারীদের ২১ প্রতিষ্ঠানের একটি গ্রুপ। সিয়ার্স বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক কেনার একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান।
৩০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বিষয়ক ম্যাগাজিন ফোর্বস এ এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।
রিপোর্টে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারীর সময় পশ্চিমা জায়ান্ট ক্রেতাদের স্বেচ্ছাচারিতা বেড়ে গিয়েছিলো অতিমাত্রায়। তাতে বাংলাদেশের কিছু গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েন। ফলে, যুক্তরাষ্ট্রে পোশাকের জায়ান্ট ক্রেতা সিয়ার্স-এর বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশের ২১ প্রতিষ্ঠানের একটি সমন্বিত দল। সেই মামলায় ৪ কোটি বেশি ডলারেরও বেশি অর্থের ক্ষতিপূরণ পাবার নির্দেশ পেয়েছে তারা।
বাংলাদেশি ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে ২০২০ সালের জুন মাসে মামলা করেছিলেন আইনজীবী জোসেফ ই সারাচেক।
আইনজীবী জোসেফ জানান, গত গ্রীষ্মে করোনাকালীন সময়ে বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠানকে দেয়া অর্ডার কোনরকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাতিল করে সিয়ার্স। এই বাতিলের নির্দেশ পাবার অনেক আগেই ৬০ লাখ ডলারের পোশাক সেলাই সম্পন্ন করে সিয়ার্স এর কাছে শিপমেন্ট করে গার্মেন্টসগুলো। পরবর্তীতে পাওনা পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা শুরু করলে সিয়ার্স এর বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হয় বাংলাদেশি ২১ গার্মেন্টের সমন্বিত গ্রুপটি।
ক্ষতিপূরণ পাবার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাদী পক্ষের আইনজীবী বলেন, আমরা সরবরাহকারীদের সুস্পষ্টভাবে আশ্বস্ত করতে পেরেছি যে, তারা তাদের অর্থের বড় অংশ ফেরত পাচ্ছেন। বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সফরমকোর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে তারা অর্থ ফেরত পাবেন। ট্রান্সফর্মকো গত বছর সিয়ার্সকে দেউলিয়া হওয়া থেকে রক্ষা করতে অর্থ বিনিয়োগ করে।
অর্ডার বাতিল করে শুধু যে সিয়ার্স বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বিপর্যয়ে ফেলেছে, এমনটা নয়। ফরএভার ২১, রোজ ড্রেস ফর লেস, দ্য চিলড্রেনস প্যালেস, কোহলস কেএসএস, গ্লোবাল ব্রান্ডস গ্রুপ এবং আর্কেডিয়া এর মতো বড় বড় ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতারাও এমন কাজ করেছে বলে জানালেন আইনজীবী জোসেফ ই সারাচেক।