fbpx

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নিরাপদ প্রত্যাবাসনের অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকালে গণভবনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্দির সাথে সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর কথাকে সমর্থন জানিয়ে ইউএনএইচসিআর প্রধান বলেন, মিয়ানামর সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে রাজি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গারা তাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে দীর্ঘ অনিশ্চয়তার কারণে হতাশ হয়ে পড়ছে, যার একটি সম্ভাব্য ঝুঁকি রয়েছে। কারণ, এটি তাদের অনেককে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে প্ররোচিত করছে।’

ফিলিপো গ্র্যান্দি প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কার সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ অবস্থান তাদের অনেককে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে প্ররোচিত করবে।

হাইকমিশনার জানান, ‘মিয়ানমার সফরকালে তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার সরকারকে অনুরোধ করেছেন। মিয়ানমারের বর্তমান সরকার প্রত্যাবাসন শুরু করতে সম্মত হয়েছে। ইউএনএইচসিআর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে।’

শেখ হাসিনা বৈঠকে জানান, ‘মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম ও ভাষার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নে সরকার রোহিঙ্গাদের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার সুবিধা দিচ্ছে। তবে ১১ লাখের বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার কারণে গভীর বনভূমি ও কক্সবাজারের উখিয়ার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে।’

রোহিঙ্গারা গাছ কাটার মাধ্যমে বনভূমি হ্রাস এবং এলাকার পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি করছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হচ্ছে। সরকার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে। এ পর্যন্ত ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ফিলিপ্পো গ্র্যান্দি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বিপুল সংখ্যক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ায় সরকারের প্রশংসা করে বলেন, রোহিঙ্গা ছাড়াও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আফগানিস্তান ইস্যু বিশ্বব্যাপী শরণার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply