fbpx

বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্ব বাজারে তেলের বাজার অস্থিতিশীল হলেও বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।

বুধবার (১৬ মার্চ) ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের ‘উচ্চ পর্যায়ের’ সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান তিনি।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যেটা আপনাদের বলতে পারি, তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ পর্যন্ত সব সূচক যা বলছে, তেলের সরবরাহ নিয়ে শঙ্কার কিছু এখনও নেই।’

বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সৌদি আরব প্রতিদিন ১১ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে, যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ১১ শতাংশের মতো। আর সৌদি আরবের আরামকো থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন প্রতি বছর ৭ লাখ টন আরব লাইট অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে।

তেল উৎপাদনে রাশিয়ার অবস্থান তৃতীয়, যারা প্রতিদিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করে। এই তেলের বেশিরভাগ অংশই যায় ইউরোপে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হলে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার ও পর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করলে প্রতি ব্যারেলের দাম উঠে যায় ১৩৯ ডলারে, যা ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ।

এর আগে বেলা ১১টার একই হোটেলে বৈঠক করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।

বৈঠক শেষে মোমেন বলেন, দীর্ঘদিন পর হাই-লেভেল পলিটিক্যাল কনসালটেশন হলো দুই দেশের মধ্যে। সবুজায়ন বাড়াতে সৌদি আরব ৫ হাজার কোটি গাছ রোপণ করতে চায়। এর মধ্যে ১ হাজার কোটি সৌদিতে এবং বিভিন্ন দেশে বাকি ৪ হাজার কোটি। এসব গাছ লাগানো ও রক্ষণাবেক্ষণে সৌদি আরবকে চারা সরবরাহ ও বৃক্ষশ্রমিক দিতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আলাপ হয়েছে ফয়সালের সঙ্গে।

এছাড়া বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশ ও সৌদি একসঙ্গে কাজ করতে চান বলেও জানান মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে সৌদি বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখাচ্ছে। এরই মধ্যে ২০টি সৌদি কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে।

অন্যদিকে সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চায়। বহুপাক্ষিকতার সমন্বয়ে এ সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে একমত দুই দেশ।

সৌদি কোম্পানিগুলো বড় ধরনের অংশীদারত্বের ব্যাবসায়িক পথ উন্মুক্ত করতে মুখিয়ে আছে। সামনের পথচলা আরও মসৃণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এসময় ফয়সাল বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, তেল সরবরাহ স্থিতিশীল থাকবে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

হজে যেনো বাংলাদেশিদের হয়রানি না পোহাতে হয়, সে প্রসঙ্গে মোমেন জানান, হজে হয়রানি কমাতে উদ্যোগ নিচ্ছে দুই দেশ। ভিসা প্রক্রিয়ার সব কার্যক্রম ঢাকায় রাখার প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মেধাবৃত্তি অনুযায়ী ২৬৫ জনের মধ্যে ৮০ জন সৌদি আরবে গেছে।

সবশেষে দুই দেশের মধ্যে প্রশাসনিক সহায়তাসংক্রান্ত একটি চুক্তি এবং সৌদির আল ফয়সাল ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতাসংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই হয় এই বৈঠকে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply