fbpx

বাংলাদেশে নির্বাচনে কে জিতবে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথা নেই: রাষ্ট্রদূত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশে নির্বাচনে কে জিতবে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথা নেই। তবে নির্বাচনের ফলে যাতে জনরায়ের প্রতিফলন ঘটে সেদিকে নজর রয়েছে এবং অংশগ্রহণমূলক ভোটের প্রত্যাশাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

বুধবার (৮ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আবার বলছি- নির্বাচনে কে জিতল সেটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিবেচ্য বিষয় নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র শুধু চায় এমন নির্বাচন, যেখানে বাংলাদেশের মানুষ যেন তাদের জনপ্রতিনিধিকে বেছে নিতে পারে।

পিটার হাস আরও জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, সরকার, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও জনগণের জোরালো অঙ্গীকার প্রয়োজন।

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো পরামর্শ আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না। এটি যুক্তরাষ্ট্রের কাজ নয়। এটি নির্বাচন কমিশনের কাজ।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছেন এই রাষ্ট্রদূত। এরই অংশ হিসেবে সিইসির সঙ্গে এ বৈঠক করেন।

সাক্ষাৎ শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত নির্বাচন সম্পর্কে তেমন কিছু আলোচনা করেননি। নির্বাচন সম্পর্কে আমাদের ভাবনা জানতে চেয়েছেন। এটা নিয়ে তাকে কিছুটা অবহিত করা হয়েছে।

সিইসি বলেন, আমেরিকার মতো এতোটা সহজ প্রক্রিয়া নয়। একটু গোলযোগপূর্ণ হবেই। সব সময় হয়ে আসছে। ওইদিক থেকে তারা প্রস্তুত নির্বাচন পরিচালনার জন্য। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আগের চেয়েও স্বচ্ছ হবে বলে আশ্বাস দেন সিইসি।

সবার সহযোগিতা নিয়ে নির্বাচনটা সফল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করার চেষ্টা করব। পর্যবেক্ষকদের অ্যালাউ করার চেষ্টা করব। আমরা আশা করি, আমাদের নির্বাচনটা আগের চেয়ে স্বচ্ছ হবে।

সিইসি বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোয় সম্ভব হবে সিসি ক্যামেরা রাখার চেষ্টা করা হবে। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ভালো নির্বাচন করা হবে। ইভিএম নিয়ে রাষ্টদূতের সঙ্গে কথা হয়নি, চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা হয়নি। দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যেও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ভোট হবে বলে আশ্বাস দিয়েছি।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মনোভাব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সিইসি বলেন, উনিও (রাষ্ট্রদূত) বিশ্বাস করেন আন্তরিক পরিবেশে নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক দলগুলার মধ্যে হয়তো সমঝোতা হতে পারে। এটা রাজনৈতিক নেতৃত্ব বুঝবেন।

মার্কিন দূত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশাও রেখেছেন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আমরা চাই। উনিও চেয়েছেন নির্বাচন ফেয়ার হলে ভালো হয়। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। সহসা দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপে বসবে ইসি। অংশগ্রহণমূলক কীভাবে করা যায় সে দিকটা আমাদের তরফ থেকে তাদের সঙ্গে আলোচনা করলে একটা উপায় বের হবে।

সংবিধান অনুযায়ী ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে আগামী জাতীয় (দ্বাদশ) সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply