fbpx

বাংলাদেশ থেকে কর্মীগ্রহণ প্রক্রিয়া সহজ করতে চায় মালয়েশিয়া

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ সফরে এসে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন বিন ইসমাইল বলেছেন, ‘আমরা অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনতে চাচ্ছি। আগামী দিনে দুই দেশের (বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া) প্রতিনিধিরা বসবেন। তারা রিভিউ করবেন যে, সমঝোতা চুক্তিতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন আছে কি-না।’

রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন বলেন, ‘আমরা আগের করা সমঝোতা চুক্তি নিয়ে কথা বলেছি। আজকের আলোচনার একটা বড় অংশ জুড়েই ছিল এই চুক্তি। মালয়েশিয়া সরকার প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে চায়, যাতে মূল লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, চাহিদা পূরণ করা, ব্যয় কমানো ও বিদেশি কর্মীদের সম্মান রক্ষা করা। যদি বর্তমান প্রক্রিয়ায় সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো না যায়, আমরা পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত। সেজন্য আমরা আলোচনায় বসবো।’

তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ায় বর্তমানে ১৫ লাখ বিদেশি কর্মী আছে। এর মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ বাংলাদেশি। সেই কারণেই বাংলাদেশ ১৫টি সোর্স কান্ট্রির মধ্যে প্রথম স্থানে আছে। বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে।’

সাইফুদ্দিন নাসুসন বলেন, ‘আমাদের আজকে দুটি ইস্যুতে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। প্রথমত, রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম আরও দ্রুত করার বিষয়ে। দ্বিতীয়ত, মালয়েশিয়া সরকার অভিবাসন ব্যয় কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

বৈঠকে রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। সে প্রসঙ্গে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় অনেক অবৈধ কর্মী আছেন। তাদের একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বৈধ করা হচ্ছে। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে এই প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। আমি জানাতে চাই যে, এক সপ্তাহে বৈধকরণের যা অনুমোদন আমরা দিয়েছি, তার ৫৫ শতাংশ বাংলাদেশি। আমি মন্ত্রী ইমরান আহমেদকে অনুরোধ জানিয়েছি সহযোগিতার জন্য, বাংলাদেশ যেন তাদের অংশটুকু পালন করে, যেন আমরা আমাদের কর্মীর চাহিদা পূরণ করতে পারি।’

বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply