fbpx

বাংলায় গুণগত কনটেন্ট নিশ্চিত করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রযুক্তিতে বাংলার ব্যবহারকে আরও এগিয়ে নিতে বাংলায় গুণগত কনটেন্ট নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আয়োজিত ‘প্রযুক্তিতে বাংলার ব্যবহার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, `ভাষা নদীর মতো বহমান। ভাষার কিছু অপব্যবহার সত্ত্বেও প্রবাহমান নদীর মতো বাংলা আপন গতিতে প্রবাহমান থাকবে। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আমাদের কাজ তরুণ প্রজন্মকে সংশ্লিষ্ট করে প্রযুক্তির মাধ্যমে এর অগ্রগতি নিশ্চিত করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প-এর আওতায় ইতোমধ্যে মোট ১৬টি টুলস উন্নয়ন করা হচ্ছে।’

শুধু ভাষাকে নয়, আমাদের বর্ণমালাটিকেও ভালবাসতে হবে। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশই বাংলার রাজধানী। বাংলা ভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদেরই কাজ করতে হবে। সে প্রেক্ষিতে অনন্য এই উদ্যোগ নেয়ার জন্য রবিকে ধন্যবাদ জানান মোস্তাফা জব্বার।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি-এর সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস ডিভিশন-এর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।

মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার অন্তর্ভুক্তির ফলেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে পেরেছি। জনসংখ্যার বিচারে বাংলা সপ্তম অবস্থানে থাকলেও ইন্টারনেট ব্যবহারে শীর্ষ ৪০টি ভাষার মধ্যে বাংলা ঠাঁই পায়নি। তাই বাংলার মাধ্যমে প্রযুক্তিকে সর্বস্তরের জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মোবাইল আর্থিক সেবা বাংলায় সহজলভ্য হওয়ার কারণেই কিন্তু দেশের আর্থিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত হচ্ছে। প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার যত বাড়বে, ডিজিটাল বিভক্তি তত দূর  হবে; তাহলে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে দেশ।’

বিজয় ডিজিটাল-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন জুঁই বলেন, ‘শিশুকে আমরা প্রথম কিন্তু ‘এ’ শিখাই না; শিখাই ‘অ’। এটা উপলব্ধির ব্যপার। তাই প্রযুক্তিতে বাংলার ব্যবহারকে আরো তরাম্বিত করতে আমাদের সেই উপলদ্ধির জায়গাটা থেকে কাজ করতে হবে। বিজয় ডিজিটালের আওতায় আমরা শিশুতোষ উপায়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে শিশুদের কাছে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত তাদের পাঠ্যপুস্তকের পাঠগুলো উপস্থাপন করছি। সেই উপস্থাপন বাংলায় বলেই আমরা তাদের কাছাকাছি পৌঁছুতে পারছি। ‘

টেলিকম রিপোর্টারস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)-এর সভাপতি রাশেদ মেহেদী বলেন, “ইন্টারনেটে আমাদের বাংলার পরিভাষাভিত্তিক শব্দভাণ্ডার নিশ্চিত করতে হবে। প্রযুক্তি-নির্ভর সাহিত্যও প্রযুক্তিতে ওই ভাষার ব্যবহারকে সমৃদ্ধ করতে পারে।” এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণের জন্য সরকার ১৬টি টুলস উন্নয়নের যে উদ্যোগ নিয়েছে তার বাস্তবায়ন আরো তরাম্বিত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

রবি আজিয়াটা লিমিটেডর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমদ বলেন, ‘প্রযুক্তিতে বাংলার ব্যবহারকে সর্বজনীন করতে তিনটি ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রথমত, বিনোদন নির্ভরতা থেকে সরে এসে প্রায়োগিক দিকটিতে মনোযোগ দিতে হবে। মানুষ যেন তার নিত্যদিনের প্রয়োজন বাংলা ভাষায় প্রযুক্তির মাধ্যমে সারতে পারেন।  দ্বিতীয়ত, সবার হাতে ডিভাইস পৌঁছে দিতে তা আরো সাশ্রয়ী হতে হবে। বাংলাদেশে হ্যান্ডসেট উৎপাদিত হলেও দাম কিন্তু এখনো সবার নাগালে আসেনি। এ ব্যপারে অন্য কী কী উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে সে ব্যপারে সংশিষ্ট সবাইকে ভাবতে হবে।  তৃতীয়ত, বাংলা ভাষায় সার্চ দিয়ে কনটেন্টের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।’

সমাপনী বক্তব্যে রিয়াজ রশীদ বলেন, ‘প্রযুক্তিতে বাংলাকে এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যেন মানুষ তা সহজে বুঝতে ও ব্যবহার করতে পারেন।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply