বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাংচুরের মামলায় যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা খাতুন সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদের প্রত্যেককে তিন দিনের এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এদিন সকালে রিমান্ড শুনানির জন্য তিন আসামিকে আদালতে নেওয়া হয়। গত শনিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল হাসান তিনজনের প্রত্যেককে সাতদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিলেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামি হলেন, ৩২ বছর বয়সী আনিসুর রহমান এবং ২০ বছর বয়সী দু’জন মো. হৃদয় আহম্মেদ ও মো. সবুজ হোসেন। এরমধ্যে, আনিসুর ছিলেন কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। এ ঘটনার পর তাঁকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, আসামিদের কারাগার থেকে সোমবার সকালে আদালতে নেওয়া হয়। আদালত প্রত্যেক আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের কপি পাওয়ার পর আসামিদের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হবে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাংচুর করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর শুক্রবার কয়া কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।
পরে প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে আসে এই ঘটনার পেছনে কারা ছিলেন। পুলিশ তদন্ত করে দেখেন, আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক সরাসরি ভাস্কর্য ভাংচুরে অংশ নেয়। কয়া মহাবিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত, ৪ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ও দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।