বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যকার বাণিজ্য বাড়াতে নৌরুটগুলো সচল করার বিষয়ে একমত হয়েছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
আজ বুধবার (২৪ মার্চ) ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে তাঁর কার্যালয়ে গেলে দুই দেশের মধ্যকার নৌরুট সচল করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন তাঁরা। এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
তিনি জানান, বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য, কানেকটিভিটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। তারমধ্যে, বাণিজ্য সম্প্রসারণে নৌরুটগুলো সচল করার বিষয়ে দুই প্রধানমন্ত্রী একমত হন। এর আগে, ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রথম দেশ হিসেবে ভুটানের সাথে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করে বাংলাদেশ।
প্রেস সচিব আরো জানান, বৈঠকে ভারতের চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুট ব্যবহার করে ভুটানের সাথে রেল যোগাযোগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে বাংলাদেশ, বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া, সহযোগিতার ভিত্তিতে ভুটানে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে দ্বিপক্ষীয় বা ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক তৈরির কথাও বলা হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বাংলাদেশে পড়াশোনা করতে আসা ভুটানের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করে বলেন, যেন শিক্ষার্থীদের এককালীন ফুলটার্ম ভিসা ও মাল্টিপল এন্ট্রি সুবিধা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রস্তাবে একমত হয়ে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, ভুটানের শিক্ষার্থীদের পাঁচ বছরের ভিসা দেয়ার কথা নিশ্চিত করেন।
দুই প্রধানমন্ত্রীর প্রায় ৪৫ মিনিটের এই বৈঠকে শেখ হাসিনা ভুটানকে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সাহায্য করার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ ভুটানকে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে। পাশাপাশি, জাতিসংঘসহ আন্তর্জা তিক ফোরামগুলোতে বাংলাদেশ ও ভুটান একসাথে কাজ করার বিষয়েও একমত হয়।
বৈঠকে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, দুই দেশের রাষ্ট্রদূত ও ভুটানের চিফ প্রটোকল অফিসার দাসো উগিয়ান গংফেল।