fbpx

বিজয়ের মাসে আরেক বিজয়, ফাইভজির যুগে বাংলাদেশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণে আরও একধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিজয়ের মাসে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তির (ফাইভ জি) যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ।

রবিবার (১২ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে দেশে ফাইভজি সেবার উদ্বোধন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় রাজধানীর রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত ‘নিউ ইরা উইথ ফাইভজি’ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এই সেবার উদ্বোধন করেন।

জয় বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ফাইভজি কেবল উন্নত দেশগুলো চালু করছে। আমরাও সে সময়ে চালু করতে যাচ্ছি। আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না।’

বিশ্বের নবম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ফাইভজি সেবা চালু হলো বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অনুপ্রেরণামূলক বার্তা দেন।

প্রাথমিকভাবে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি-৩২, বাংলাদেশ সচিবালয়, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এবং ঢাকার বাইরে সাভার ও টুঙ্গিপাড়ায় এই সেবা পাওয়া যাবে। টেলিটকের মাধ্যমে হুয়াওয়ে এবং নোকিয়ার সহযোগিতায় এই সেবা চালু করা হচ্ছে।

পরে জেলা পর্যায়ে ফাইভজি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করা হবে। আগামী বছরের মধ্যে টেলিটকের ২০০টি সাইটে ফাইভজি নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফাইভজি সাপোর্টেড স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফাইভজি সেবা ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের সিম পরিবর্তন করতে হবে না।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাহাব উদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা ফাইভজি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেট গতি, অতি স্বল্প ল্যাটেন্সি, ভার্চুয়াল বা অগমেন্টেড রিয়েলিটি সার্ভিসগুলোর ওপর অভিজ্ঞতা নেন। ফোরজি সেবার তুলনায় ফাইভজির গতি প্রায় ২০ গুণ বাড়বে এবং ল্যাটেন্সি ১০ ভাগের ১ ভাগে কমে আসবে। ফাইভজি সেবা দেওয়ার জন্য টেলিটক বিটিআরসি থেকে ৬০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply