আফগানিস্তানে বিবিসি, ডয়চে ভেলে, ভয়েস অব আমেরিকার সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান সরকার।
বিবিসি রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের তিনটি ভাষা- পশতু,ফারসি এবং উজবেক ভাষার বুলেটিন তালেবানরা বন্ধ করে দিয়েছে। ডয়চে ভেলের দারি ও পাশতু ভাষার সম্প্রচার সহযোগীদের অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই রকম অভিযোগ করেছে ভয়েস অব আমেরিকাও।
বিবিসি বলছে,আফগানিস্তানের মানুষের অনিশ্চয়তা এবং সংকটের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত খুবই উদ্বেগজনক। আফগানদের স্বাধীন সাংবাদিকতা থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়।
বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের পক্ষ থেকে তারিক কাফালা জানিয়েছেন, ৬০ লাখেরও বেশি আফগান বিবিসির স্বাধীন ও পক্ষপাতহীন সাংবাদিকতার গুণগ্রাহী ছিলেন। তারা এখন সেই সাংবাদিকতা থেকে বঞ্চিত হবেন।
বিবিসির সঞ্চালক এবং সাংবাদিক ইয়ালদা হাকিম কাফালার টুইটে জানিয়েছেন, ‘তালেবানকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বলছি। তারা যেন অবিলম্বে আমাদের টিভি পার্টনারদের বিবিসি-র নিউজ বুলেটিন দেখানোর সুযোগ করে দেয়।’
সোমবার ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক পিটার লিমবুর্গ বলেন, ‘আফগানিস্তানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর ক্রমবর্ধমান বাধার ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক৷’
তিনি আরও বলেন, ‘তালেবানরা এখন আমাদের গণমাধ্যম অংশীদারদের মাধ্যমে ডিডব্লিউ প্রোগ্রাম সম্প্রচারকেও অপরাধের আওতায় ফেলছে, যা আফগানিস্তানের ইতিবাচক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে৷ এর জন্য মুক্ত গণমাধ্যম অপরিহার্য এবং আমরা ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আফগানিস্তানের জনগণকে স্বাধীন তথ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবো।
এদিকে জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ আফগান মিডিয়া কোম্পানি মবি গ্রুপকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, তালেবান গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট পাওয়ার পর ভয়েস অব আমেরিকার সম্প্রচারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল হামিদ হাম্মাদও তা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য,২০২১ সালের আগস্টে যখন তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়, এরপর বহু সাংবাদিক দেশ ছেড়ে চলে যান। সম্প্রতি তালেবান মেয়েদের জন্য সেকেন্ডারি স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে যায়। এরপরই এই সম্প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।