বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১৫ লাখ ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ রোগীই মারা গেছে গত দুই মাসে। এরই মধ্যে ভাইরাসটি হানা দিয়েছে ৬ কোটি ৫৬ লাখেরও বেশি মানুষের শরীরে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ৪৫ লাখের ও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছে।
সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে পরিস্থিতি দিন দিনই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি রোগী। মারা গেছে প্রায় তিন হাজার মানুষ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘থ্যাংকস গিভিং ডে’কে কেন্দ্র করে উৎসব-সমাবেশে ভাইরাসটির বিস্তার আরও বেড়েছে।
পিরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর প্রথম একশ দিন দেশবাসীকে মাস্ক পরার অনুরোধ করবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এদিকে ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কায় নাকাল এখন গোটা ইউরোপ। সংক্রমণ বাড়ছে ইতালি, জার্মানি, পোল্যান্ডসহ অনেক দেশে। ভাইরাস মোকাবেলায় নতুন বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি। বড় দিনকে কেন্দ্র করে জনসমাবেশে ভাইরাসটির দাপট বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় বাসিন্দাদের এক শহর থেকে অন্য শহরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চলতি বছর ২১ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
ভালো খবর নেই রাশিয়া থেকেও। বৃহস্পতিবার এক দিনেই এখানে শনাক্ত হয়েছে ২৭ হাজারেরও বেশি রোগী। এদিকে বিধিনিষেধের আওতায় থাকা যুক্তরাজ্যে, সংক্রমণ খানিকটা কমলেও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
স্বস্তির খবর নেই করোনার দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ভারেতর থেকেও। বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার এখানে সংক্রমণ আবার বেড়েছে। দেশটিতে এরই মধ্যে ভাইরাসটি হানা দিয়েছে সাড়ে নয় লাখেরও বেশি মানুষের শরীরে। মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার ছাড়িয়েছে।