fbpx

বিশ্বে চিনি-মাংস-দুধের দাম কমেছে, বেড়েছে ধান-গম-ভুট্টার দাম

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গেল ছয় মাসে গোটা বিশ্বে চিনি, মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের মূল্য কিছুটা কমলেও ধান-গম-ভুট্টার মতো খাদ্যশস্যের দাম বেড়ছে। তবে সার্বিক বিচারে ধীরে ধীরে খাদ্যপণ্যের দাম সহনীয় মাত্রায় পৌঁছাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (ফাও)।

বৈশ্বিক খাদ্যপণ্য মূল্যসূচকের সেপ্টেম্বর মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে ফাও এমন তথ্য জানিয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল, চিনি, মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাতপণ্যসহ প্রায় সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল।

১৯৬২ সাল থেকে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক বাজার বিশ্লেষণ করে ফাও এমন তথ্য জানিয়ে আসছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে সেই ১৫৯ দশমিক ৭ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছিল, যার অর্থ খাদ্যপণ্যের বাজারমূল্য দিন দিন অসহনীয় পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে।

তখন ফাও’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গত ৬০ বছরের ইতিহাসে এত অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দামের এই পরিমাণ উল্লম্ফন ঘটেনি।

এপ্রিল মাস থেকে ধীরে ধীরে কমতে থাকে খাদ্যপণ্যের দাম। শুক্রবার ফাও’র বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচকের অবস্থান ছিল ১৩৬ দশমিক ৩ পয়েন্টে। আগস্টে সূচকের অবস্থান ছিল ১৩৭ দশমিক ৯ পয়েন্টে। অর্থাৎ ধীরে ধীরে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম কমে আসছে।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, গত ছয় মাসে শতকরা হিসেবে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ; আর ‍চিনি, মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের মূল্য ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

তবে চাল ও গমের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ২ শতাংশ করে এবং ভুট্টার দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খরা, বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে উৎপাদন কম হওয়াই এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ, এমনটি জানিয়েছে ফাও।

ফাও থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বর্তমান বৈশ্বিক খাদ্যমূল্য পরিস্থিতি সম্পর্কে বলা হয়, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে, কমেছে অন্যান্য খাদ্যপণ্যের দাম। যদি খাদ্যশস্যের দাম স্থিতিশীল থাকত, বাজারে আরও স্বস্তিভাব বজায় থাকত।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply