মাঘ মাস ঘনিয়ে আসছে অথচ রাজধানীর আকাশে ঝলমলে রোদ। শীতের দাপট নেই, সেই সঙ্গে তাপমাত্রার পারদ বেড়েছে। ভোর রাতে শীত কিছুটা অনুভূত হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সূর্যের তেজ। ভরদুপুরে নগরবাসীর ঘাম ঝরলেও উত্তরের জনপদ এখনও শীতে কাঁপছে।
বুধবারও রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ১৩ জেলার ওপর বয়ে গেছে শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, কুয়াশা চলে যাওয়ায় শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে। অধিদপ্তরের কার্যকর ৪৩টি স্টেশনের মধ্যে পাঁচটি বাদে অন্যগুলোতে তাপমাত্রা বেড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিনের জন্য হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পাড়ে। বৃষ্টির পর সারাদেশের তাপমাত্রা আবারও অনেক কমে যেতে পারে। ফলে এ সময় তীব্র শীতের অনুভূতি হবে।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, আজ ও আগামীকাল শুক্রবার সকালে রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর ওপর আবারও কুয়াশাসহ শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ দু’দিন সকালে বেশিরভাগ জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ও অনেক জেলায় ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। এরপর আবারও তাপমাত্রা তিন দিন বাড়তির দিকে থাকবে। ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে, যা ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকতে পারে।