প্রথম দফায় বেসরকারিভাবে ৭১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে চার লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ করতে হবে বলে বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাশাপাশি প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে বলেও মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে অনেকদিন ধরেই চালের বাজার অস্থিতিশীল। বোরো মৌসুমেও বাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে মোটা চালের কেজিপ্রতি দাম ৫০ টাকার কাছাকাছি। আর চিকন চাল কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।
এমন পরিস্থিতিতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে উদ্দেশ্যে চাল আমদানি শুল্ক ও কর কমানোর অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে গত ৬ জুলাই এনবিআরকে চিঠি দেয়া হয়।
এরপর ১২ আগস্ট শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে এনবিআর। যা আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এই কম শুল্কহারে চাল আমদানির জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে পারবে।