প্রতিটি ব্যাংক মুনাফার একটি অংশ করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে খরচ করে। এই অর্থ যাতে দেশের টেকসই খাতে ব্যবহার হয়, এবার সেই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এজন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সিএসআর নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার মোর্শেদ মিল্লাতের নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটি এই নীতিমালা প্রস্তুত করে।
নীতিমালা অনুযায়ী, সিএসআর খরচের ৩০ শতাংশ শিক্ষা খাতে, ২০ শতাংশ পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ও ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে খরচ করতে হবে। বাকি অর্থ আয় উপযোগী উদ্যোগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন, খেলাধুলা ও বিনোদন খাতে খরচ করা যাবে। এর বাইরে ব্যাংকগুলো চাইলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রণালয়ের তহবিলে সিএসআরের অর্থ দিতে পারবে। এই নীতিমালায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের কোন উপখাতে খরচ করা যাবে, তা সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পাশাপাশি কোন খাতে সিএসআরের টাকা খরচ করা যাবে না, তা–ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, শিশুশ্রমে আছে এমন খাত, সামাজিক মূল্যবোধের জন্য ক্ষতিকর ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ও বিনোদন অনুষ্ঠানে সিএসআরের টাকা খরচ করা যাবে না। পাশাপাশি ব্র্যান্ডিং ও বিজ্ঞাপনে সিএসআরের টাকা খরচ করা যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, নিট মুনাফার অর্থ সিএসআরে খরচ করা যাবে। পাশাপাশি বিদেশি ব্যাংকগুলো নিজেদের মুনাফার পাশাপাশি বিদেশি কার্যালয়ের অনুদান, ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো জাকাতের টাকা ও সন্দেহজনক আয় সিএসআর খাতে খরচ করতে পারবে। এছাড়া ব্যাংক নিজে না পারলে ফাউন্ডেশন বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সিএসআর খাতে খরচ করতে পারবে।