মুখ্যমন্ত্রীর পদে বহাল থাকতে আর কোনো বাধা থাকলো না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে জয়ই ভাগ্য নির্ধারণ করে দিল তাঁর। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আবারও দায়িত্ব নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভবানীপুরে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে তিনি জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন এই কংগ্রেস নেত্রী। বৃহস্পতিবার (৩০সেপ্টেম্বর) এর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় । আর রবিবার (৩ অক্টোবর) ভোট গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
নন্দীগ্রামে মমতা হেরে গেলেও সংবিধান মেনে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করে। সাংবিধানিক বিধি হলো, ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভা আসন থেকে জিতে আসতে হবে।
এজন্য বেশ কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়াসহ সব জায়গায় আলোচনা চলছিল, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা থাকতে পারবেন কি না। সেই বিতর্কের অবসান ঘটলো আজ এই ফলাফল প্রকাশের মধ্য দিয়ে।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশের বেশি। গত ২৬ এপ্রিলের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ। সেখানে ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন তৃণমূলের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১১ সালেও এই কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে বিজয় লাভ করেন মমতা। সেখানে ভোট পড়েছিল ৪৫ শতাংশেরও কম। আর মমতা ব্যানার্জী জিতেছিলেন ৫৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটে। আর এবার ভবানীপুরে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১২। নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী ছিলেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
