fbpx

ভারত নয়, বাংলাদেশী জিআই পণ্যের নিবন্ধন পাচ্ছে টাঙ্গাইল শাড়ি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শিগগিরই বাংলাদেশী ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে টাঙ্গাইল শাড়ি। শিল্প মন্ত্রণালয়ে গতকাল সোমবার জিআই পণ্যের স্বীকৃতিসংক্রান্ত এক জরুরি সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

সভায় জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যেসব আবেদন প্রক্রিয়াধীন সেগুলো দ্রুত সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়। জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি ও নিবন্ধন দেয়া হবে।’

শিল্প সচিব বলেন, ‘টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ছাড়াও মধুপুরের আনারস, নরসিংদীর লটকন, সাগর কলা, ভোলার মহিষের কাঁচা দুধের দই ইত্যাদিসহ জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য যেসব আবেদন অনিষ্পন্ন আছে তা দ্রুত সম্পাদন করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়।’

তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ২১টি পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলা থেকে এক বা একাধিক পণ্য বা বস্তু খুঁজে বের করে আবেদন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়েছে। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির পর শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এগুলোর ব্র্যান্ডিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হবে।’

শিল্প মন্ত্রণালয় এবং পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ভার্চুয়ালি যুক্ত হন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন যথাযথভাবে ডকুমেন্টেশন করে দুই একদিনের মধ্যে জমা দেয়া হবে। এরই মধ্যে আবেদন ফি প্রদানের পে-অর্ডার করা হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, এরই মধ্যে ভারত টাঙ্গাইল শাড়িকে তাদের জিআই পণ্য ঘোষণা করায় আইনগত বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

এদিকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। এ নিয়ে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ বৃহস্পতিবার একটি পোস্টও দেওয়া হয়।

ওই ফেসবুক পোস্টের নিচে হাজারো বাংলাদেশি প্রতিবাদ জানান। সবারই একটিই প্রশ্ন ছিল, টাঙ্গাইল শাড়ি কীভাবে ভারতের হয়? ভারত কীভাবে এ দাবি করে? শেষ পর্যন্ত তবে বিতর্কের জেরে পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রোববার থেকে এ-সংক্রান্ত পোস্টটি মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে দেখা যাচ্ছে না।

ওই পোস্টে দাবি করা হয়েছিল, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত। এটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রঙ এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত। এটি এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। টাঙ্গাইলের প্রতিটি শাড়ি ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সৌন্দর্যের মেলবন্ধনে দক্ষ কারুকার্যের নিদর্শন। ’

Advertisement
Share.

Leave A Reply