fbpx

ভুলভাল শব্দে কথা বলার রোগ সম্পর্কে জানেন কি ? 

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে আমরা মাঝেমাঝেই কিছু মানুষের দেখা পাই যারা হুটহাট কিছুটা অস্বাভাবিক বা  অশোভন আচরণ করে বসে। অথবা কথা বলতে গেলে তাদের মুখ থেকে বের হয়ে আসে দুই একটা  অসম্মানজনক বা আক্রমণাত্মক কোন শব্দ।

ভুলভাল শব্দে কথা বলার রোগ সম্পর্কে জানেন কি ? 

আমরাও তাদের উপর অনেক সময় খুব বিরক্ত হই। এমনও হয়, তাদের অস্বাভাবিক এবং উদ্ভট আচরণের কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে না পেয়ে আমরাও পালটা আক্রমণ করে বসি। কিন্তু  আসলে এমনটাও তো হতে পারে যে,  সে যা করছে তা আসলে ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমনেশিয়ার মত জটিল কোন মানসিক রোগের ফলাফল। তাই কারো কথায় রেগে গিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাতে আরো সময় নিন।

ভুলভাল শব্দে কথা বলার রোগ সম্পর্কে জানেন কি ? 

মস্তিষ্কের খুব সুক্ষ্ম ক্ষতির কারণে সৃষ্টি মানসিক সমস্যাগুলোর নাম ডিমেনশিয়া। আর কয়েক প্রকার ডিমনেশিয়ার মধ্যে ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়া হচ্ছে একটি  অস্বাভাবিক ধরণের ডিমেনশিয়া। যা মানুষের  মস্তিষ্কে আচরণ এবং ভাষা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে। ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিসঅর্ডার (এফটিডি) বা  ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়া হচ্ছে মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল এবং টেম্পোরাল লোবের নিউরনের ক্ষতির ফলাফল। অস্বাভাবিক আচরণ, মানসিক সমস্যা, যোগাযোগে সমস্যা, কাজ করতে অসুবিধা বা হাঁটার অসুবিধা সাধারনত এই ডিমনেশিয়ার প্রধান লক্ষণ। সাধারণত অল্প বয়স্করা এই  ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হয়।

  • এই ধরণের ডিমেনশিয়া মানুষের ব্যক্তিত্ব এবং আচরণে খুব বাজে ধনের পরিবর্তন ঘটায়। এই ধরনের ডিমনেশিয়ায় আক্রান্ত মানুষেরা অন্যদের নির্দ্বীধায়  বিব্রত করতে পারে বা অনুপযুক্ত আচরণ করতে পারে।
  • যেমন এই রোগে আক্রান্ত মানুষ  অন্য কোন ব্যক্তি কে নিয়ে হুট করে আপত্তিকর মন্তব্য করে বসে এবং বাড়িতে বা কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বে অবহেলা করতে পারে। তাদের কথা বলা বা বোঝার মতো ভাষার দক্ষতা নিয়েও সমস্যা হতে পারে।
  • ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিসঅর্ডার (এফটিডি) বা  ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়ায় তিন ধরনের ভাষার সমস্যা দেখা যায়।
  • প্রথমে আক্রান্ত ব্যক্তি ধীরে ধীরে ছোট ছোট শব্দের অর্থ বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন এবং কখনও কখনও পরিচিত মানুষের মুখ চিনতে পারেন না।
  • এরপর তার  কথা বলতে আরও বেশি সমস্যা হয় । বিশেষ্য এবং ক্রিয়াপদ যুক্ত করে এমন শব্দগুলো সে তার কথা থেকে বাদ দিতে থাকে। এবং সব শেষে আক্রান্ত ব্যক্তিটি আর কথা বলতেপারে না।
  • এরপর আক্রান্ত ব্যক্তির কথা বলার সময় উপযুক্ত শব্দ খুঁজে পেতে সমস্যা হয়।

বর্তমানে এফটিডির কোনো নিরাময় নেই এবং নেই কোন চিকিৎসাও, যা এই সমস্যাগুলো কমাতে সাহায্য করে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply