দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির মাঝেই ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠক শেষে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।
রবিবার নিত্যপণ্য মজুত পরিস্থিতি, আমদানি, দাম নির্ধারণ সংক্রান্ত বৈঠকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৩৬ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ভোজ্যতেলের দামের বিষয়ে আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওনাদের (বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন) প্রস্তাব ছিল বোতলজাত কেজিপ্রতি তেল ১৬৮ টাকা করার।‘
ফলে আগের চেয়ে লিটারপ্রতি বোতলজাত ও খোলা সয়াবিনের দাম সাত টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলো। তবে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো এই দাম আরও বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল।
বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন কোম্পানির বোতলজাত সয়াবিন প্রতিলিটার ১৫৬ থেকে ১৫৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন প্রতিলিটার ১৪২ থেকে ১৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে পাম তেল ছাড়া খুচরা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যেখানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১২৯ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৫৩ টাকা, ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয় ৭২৮ টাকা।
তবে সেই বৈঠকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি চার টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।