fbpx

মধ্যবিত্তের সংসার চালানো দায়: গুটিকয়েক ব্যবসায়ী বাড়াচ্ছে পণ্যের দাম

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর কারণেই দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশচুম্বী বলে দাবি করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান। লোভ সংবরণ করতে না পারায় বাজারের এমন দশা বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সমিতির নেতাদের সঙ্গে সচেতনতামূলক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মহাপরিচালক বলেন, আগেই সব দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে গেছে। সরকারের পক্ষে সব বাজার মনিটরিং সম্ভব নয়। এজন্য তিনি ব্যবসায়ী নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বেশ কিছুদিন ধরেই সরকার দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানানো হয়েছে। কিন্ত বাস্তবতা বলছে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা।

ক্রেতাদের অভিযোগ, রোজার আগেই বেশকিছু নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে শফিকুজ্জামান বলেন, ‘শুধু নিম্নবিত্তরাই নয়, মধ্যবিত্তদেরও এখন সংসার চালানো দায়।  রোজার আগেই বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বেশিরভাগ পণ্য। কঠিন সময়ে আছে মধ্যবিত্ত শ্রেণি। তাই পণ্যের যৌক্তিক দাম নিতে হবে।’

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভোক্তা স্বার্থ ক্ষুণ্ন হলে ব্যবস্থা নেয়ার বিকল্প থাকবে না।’

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘প্রতিটি দোকানে মূল্যতালিকা টানিয়ে রাখতে হবে। খুচরা পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করা আছে, তার বেশি নেয়া যাবে না। খোলা তেলের দাম নির্ধারিত, তবুও দাম মানা হচ্ছে না।’

মোহাম্মদপুর টাউন হল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লুৎফর রহমান বাবুল বলেন, ‘পাইকারি বাজারে মূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। কারওয়ান বাজার থেকে পণ্য কিনলে রশিদ দেয় না। কাঁচামাল কোনোদিন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না। প্রতিদিন দাম নির্ধারণ করে দিতে হয়। রশিদ ছাড়া বিক্রিতেই কারচুপি হয়।’

মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন বাবু বলেন, ‘খুচরা ভোক্তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। পাইকারি বেশি বিক্রি হয়।লাভের মূল্য রেখেই পাইকারিতে তারা বিক্রি করেন যা থেকে খুচরায় মুনাফা হয়।

ঢাকার বাজারকে উত্তপ্ত না করে গ্রামাঞ্চলের পণ্যের দাম বেশি প্রচার করা, রোজায় অতিরিক্ত পণ্য কেনার মানসিকতা বন্ধ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানান তিনি।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ বা ক্যাবের তথ্য কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘সবাই বলে মৌলভীবাজারের দাম বেশি। সে কারণে সব জায়গায় দাম বাড়ছে। চাল, পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাচ্ছে, নিয়ন্ত্রণ কে করবে?’

কারওয়ান বাজার আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘বাজার পর্যালোচনা করে সঠিক সময়ে আমদানি করতে হবে। ভোক্তাদের সচেতন হতে হবে। রোজার মাসে একসঙ্গে বাজারে গিয়ে একমাসের পণ্য কেনার প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply