fbpx

মহাসড়কে ডাকাতি, পুলিশ সদর দফতরের ১০ নির্দেশনা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বর্তমানে মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু ডাকাতিই নয় পাশাপাশি চলছে যৌন নৃশংসতা। সম্প্রতি টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকায় একটি বাসে ডাকাতির পাশাপাশি এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। আর এ  ধরনের ঘটনা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পুলিশ।

পুলিশ সদর দফতর বলছে, এসব ঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা না নেওয়া গেলে এ জাতীয় অপরাধ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এ কারণে পুলিশ সদর দফতর থেকে সকল ইউনিটকে ডাকাতি প্রতিরোধে ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে-

ডাকাতির ঘটনা ঘটলে এজাহারকারীর বক্তব্যের আলোকে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করতে হবে।

এজাহারকারীর দেওয়া তথ্যে অসামঞ্জস্যতা দেখা দিলে যাচাই-বাছাই করে দ্রুত বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ডাকাতির মামলায় পুলিশ সুপার বা মেট্রো ডিসি মামলা তদারক করবেন। ডাকাতির মামলা রুজু হলে পুলিশ সুপার নিজে অথবা ন্যূনতম একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তদারক করবেন। সাজাভোগকারী ডাকাত ও জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের প্রয়োজনীয় তথ্যসহ তালিকা তৈরি করতে হবে এবং তাদের অবস্থান ও গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতে হবে।

এছাড়া ডাকাতির রহস্য উদঘাটনে প্রয়োজন মনে করলে পার্শ্ববর্তী পুলিশ ইউনিটগুলোর সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি ও তথ্য বিনিময় করতে হবে।

ঘটনার পরপরই সম্ভাব্য স্থানে আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চালাতে হবে এবং দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।

ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক মামলার কারণে বরখাস্তকৃত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক সদস্যদের তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে এবং তাদের অবস্থান ও গতিবিধির খোঁজখবর রাখতে হবে।

সময়ে সময়ে একাধিক ইউনিট সমন্বিতভাবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবেন এবং মামলার তদন্ত কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করতে হবে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, মহাসড়কসহ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ডাকাতিতে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের পর দেখা গেছে, তারা একই অপরাধ বারবার করেও জামিন পেয়ে যাচ্ছে। বেরিয়ে এসে আবার ডাকাতিতে জড়ায়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply