fbpx

মাদক না ছাড়ায় নোবেলকে ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং বেফাঁস মন্তব্য করে প্রায়ই আলোচনায় আসেন ‘সারেগামাপা’ খ্যাত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল।

সম্প্রতি, কুড়িগ্রামে এক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে মাতলামি ও অসংলগ্ন আচরণ করতে দেখা গেল তাকে। মঞ্চে এমন অসংলগ্ন উচ্ছৃঙ্খল আচরণ দেখে ক্ষুব্ধ দর্শক-শ্রোতারা জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারতে থাকেন তাকে। পরে আয়োজক কর্তৃপক্ষ মঞ্চ থেকে সরিয়ে নেয় নোবেলকে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ ডিভোর্স দিয়েছেন এই শিল্পীকে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ডিভোর্স প্রসঙ্গে এক ফেসবুক পোস্টে সালসাবিল এমনটিই জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে নোবেলের স্ত্রী বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘তালাকের চিঠি আগেই দিয়েছিলাম। তালাক কার্যকর হতে ৩ মাস সময় লাগে। কিন্তু চাইলে সেটাকে স্থগিত করা যায়। আমি নোবেলের পরিবর্তন আশা করে সেটাকে স্থগিত রেখেছিলাম। আজ সকালে (বৃহস্পতিবার) সেটা কার্যকর করেছি।’

বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‌’আমি হয়তোবা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা যেহেতু আমরা দুজনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম, কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, ‘নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল’ এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করি।’

নোবেলের মাদকাসক্তের পেছনে অনেকের হাত আছে উল্লেখ করেছেন তিনি। যারা সবসময়ই নোবেলের আশেপাশেই থাকে বলেও পোস্টে জানিয়েছেন। সালসাবিল বলেন, ‌’আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই। নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিল না। এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী, কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষের অবদান আছে। সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply