fbpx

মানব পাচার রোধে এখনও সক্ষমতা অর্জন করেনি বাংলাদেশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ এখনও মানব পাচার রোধে পুরোপুরি সক্ষমতা অর্জন করেনি। তবে সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ যথেষ্ট পরিমাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার মানব পাচার নিয়ে ‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়, করোনা মহামারিতে বাংলাদেশের মানব পাচার প্রতিরোধ সক্ষমতার ওপর প্রভাব পড়েছে। সেটা বিবেচনায় নিয়ে গতবারের তুলনায় মানব পাচার রোধে সরকারের সার্বিক প্রচেষ্টা বেড়েছে। এরপরও প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ধাপের নজরদারির তালিকায় রাখা হয়েছে।

প্রতিবেদনে তিনটি ধাপে বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা আইনের (টিভিপিএ) বিষয়গুলোকে ভিত্তি হিসেবে ধরেই ধাপগুলো তৈরি করা হয়েছে। মানব পাচার বন্ধে যেসব দেশ টিভিপিএর ন্যূনতম মানদণ্ড অর্জন করতে পেরেছে, সেগুলোকে প্রথম ধাপে যেসব দেশ ন্যূনতম মানদণ্ড অর্জন করতে পারেনি কিন্তু প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সেগুলোকে রাখা হয়েছে দ্বিতীয় ধাপে এবং যেসব দেশ টিভিপিএর ন্যূনতম মানদণ্ডও অর্জন করতে পারেনি, আবার পাচার বন্ধে উল্লেখযোগ্য চেষ্টাও চালাচ্ছে না, সেগুলোকে রাখা হয়েছে শেষ ধাপে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা রয়েছে দ্বিতীয় ধাপে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও শাস্তি প্রদানে সরকারের প্রচেষ্টা বেড়েছে। এ ঘটনায় একজনের সংসদ সদস্য পদ বাতিল বহাল রয়েছে। মানব পাচারের বিচারে ২০২১ সালের আগস্টে সাতটি ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। এছাড়া জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) শ্রম কনভেনশনের প্রটোকল অনুসমর্থন করেছে।

প্রতিবেদনে জানানো বলা হয়, বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে টিভিপিএর ন্যূনতম মান প্রতিপালন করতে পারেনি। আগের বছরের তুলনায় পাচারের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়েছে। পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সেবায় ঘাটতি রয়েছে। রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিগুলোর অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর বাড়তি ফি নেওয়ার সুযোগ এখনো রয়েছে। অবৈধভাবে শ্রমিক পাঠানো প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে শ্রমিকেরা পাচারের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ছেন।

মানব পাচার রোধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে অংশীদারি বৃদ্ধিসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

Advertisement
Share.

Leave A Reply