fbpx

মিতুর কণ্ঠে লালনের ‘সব লোকে কয়’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

একজন নবীন চারদিকে দেখে দেখে শিখে। এরপর নিজে বলবান, ফলবান এবং ছায়াবান হয়ে নিজের অস্তিত্ব জানান দেয়। তেমনই একজন তরুণ কণ্ঠশিল্পী কানিজ খন্দকার মিতু। টাঙ্গাইলের মেয়ে মিতুর গানের তালিম শুরু হয় ওস্তাদ গোলাম রাব্বানী রতনের কাছে।

মিতু নিজের ধ্যান-জ্ঞান একাকার করে সঙ্গী করেছিলেন গানকে। স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপটি শুরু হয় ব্র্যাক ব্যাংক নিবেদিত সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘মেঘে ঢাকা তারা’য় অংশ নিয়ে। ২০১১ আয়োজিত এটিএন বাংলায় প্রচারিত এই আয়োজনে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন তিনি। এবার ২১ জুন বিশ্ব সংগীত দিবসে ‘কোক স্টুডিও’র বাংলা ভার্সন’র জন্য ‘সব লোকে কয়’ এই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটি প্রযোজনার পাশাপাশি সংগীতায়োজন করেছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব।

মিতু বলেন, এত বড় প্ল্যাটফর্মে লালন সাঁইজীর গান করতে পেরেছি এটি আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। এ জন্য প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই অর্ণবদার প্রতি। তিনি না থাকলে এই সুযোগটি পাওয়া হতো না। পাশাপাশি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই আমার ওস্তাদ গোলাম রাব্বানী রতনের প্রতি। তিনি আমার পাশে ছায়ার মতো না থাকলে হয়তো এতদূর আসা সম্ভব হতো না। এছাড়াও আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন মিতু। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যায়নরত।

মিতুর কণ্ঠে লালনের ‘সব লোকে কয়’

মিতু কণ্ঠ, সুর, তাল আর লয়কে মুঠোবন্দি কর মেঘের ভেলায় পাড়ি দিয়ে চলতে চান অসীম দূরত্বে। তিনি বলেন, ছোট থেকেই গান নিয়ে থাকলেও কোক স্টুডিওর এই গানের মাধ্যমে আমার পুনর্জন্ম হলো। এই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। পাপাপাশি গান দিয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন আপনাদের ভালো কিছু গান উপহার দিতে পারি৷

এদিকে মিতুর গাওয়া ‘সব লোকে কয়’ গানের সঙ্গে ভারতীয় ফোকের মিশ্রণে ফিউশন তৈরি করা হয়েছে। এই অংশের শিরোনাম ‘কবিরা কুয়া এক হ্যায়’। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতের গায়ক মুর্শিদাবাদী। এটি পনেরো শতকের ভারতীয় রহস্যবাদী কবি এবং সাধক কবীর দাশের লেখা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply