fbpx

মিয়ানমারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মিয়ানমারের ওপর আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি ও ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এইসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জঙ্গিবিমানের জ্বালানি সরবরাহ করা এবং তা আমদানি ও মজুত করতে সহায়তা করে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর অবিরাম বিমান ও বোমা হামলা চালাতে সক্ষম করে তুলেছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটিতে সঙ্কট চলছে। দেশটিতে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিক্ষোভকারীরা। রক্তক্ষয়ী আন্দোলন, সংঘাত, অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলছেই। বিক্ষোভে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। জান্তাবিরোধী সরকার এবং প্রতিরোধ বাহিনীও গঠন করা হয়েছে ।

মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয় বলেছে, অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশের জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতা এবং সহিংসতা চালিয়ে আসছে। তারা উত্তোরত্তর জনবহুল এলাকাগুলোতে বিমান হামলা চালাচ্ছে। মধ্য বার্মার একটি গ্রামে বিমান হামলায় একটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যে বিমান হামলায় ৮০ জন নিহত হয়েছে।

মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে জানান, দেশটির সামরিক শাসকরা নিজেদের জনগণের ওপরই দুর্ভোগ, যন্ত্রণা আপতিত করছে। বার্মার জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্র অটল। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নৃশংসতা চালানোর জন্য যেসব উপাদান ব্যবহার করে সেগুলো তাদের হাতে যাওয়া ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ানমারের দূতাবাস থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply