fbpx

মিরপুরে বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে সিরিজ শুরু

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্বকাপ ফুটবলের ডামাডোলের মধ্যেই আজ শুরু বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে সিরিজ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দুপুর ১২টায় শুরু হবে প্রথম ওয়ানডে। ৭ ডিসেম্বর একই মাঠে দ্বিতীয় ও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১০ ডিসেম্বর তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছে বাংলাদেশ। তাই বলে এ সিরিজটাকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছে না টাইগাররা। ভারতের দিক থেকে বললে, শীর্ষ সারির খেলোয়াড়দের নিয়েই বাংলাদেশে এসেছে তারা। তাদের লক্ষ্যটা পরিষ্কার, আগামী বছর ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ভালোভাবে তৈরি রাখা ও শিরোপার ফেভারিট হিসেবে তুলে ধরা।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ভারত তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপাটি জিতেছিল নিজেদের মাটিতেই। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ফাইনালে শ্রীলংকাকে পরাজিত করেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত।

আজ ৩৭তম ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। এখন পর্যন্ত বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে দুইবারের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তারা ৩০টি ওয়ানডে ম্যাচে জিতেছে, বিপরীতে বাংলাদেশের জয় মাত্র পাঁচটি। যদিও ২০১৫ সালে বাংলাদেশের মাটিতে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে পরাজিত হয় ভারত।

ঘরের মাঠ বাংলাদেশের জন্য যেন দুর্গ। এখানে ২০১৬ সালের পর কোনো ওয়ানডে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। তাই স্বাগতিক দলকে হালকাভাবে নেবে না ভারত। অতিথি দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বাংলাদেশ দলটি খুবই চ্যালেঞ্জিং, তাদের সঙ্গে আমরা সহজে জিতিনি। প্রতিবারই আমাদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। এমনকি টি২০ বিশ্বকাপ ম্যাচেও তা-ই ছিল। ২০১৫ সালে আমরা এখানে সিরিজ হেরেছি। গত কয়েক বছরে তারা অনেক উন্নতি করেছে। ফলে জিততে হলে আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। আমাদের জন্য সহজ হবে না।

এদিকে, ভারতের বিপক্ষে এ সিরিজে বাংলাদেশ পাচ্ছে না তামিম ইকবাল ও তাসকিন আহমেদকে। তামিম না থাকায় তিনে ব্যাট করবেন সাকিব আল হাসান। তাতে দলে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলানোর সুযোগ হবে। সম্ভবত ইয়াসির আলী থাকছেন একাদশে। আর তাসকিন না থাকায় সুযোগ পেতে চলেছেন এবাদত হোসেন।

চলতি বছর ওয়ানডেতে ৬২.৫০ গড়ে ৫০০ রান করেছেন লিটন। আর তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এ বছর ১ হাজার ৭০৩ রান করেছেন তিনি। তার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন শুধু পাকিস্তানের বাবর আজম। এ সিরিজে অধিনায়কের বাড়তি দায়িত্ব পালন করবেন বলে তার পারফরম্যান্সের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হতে পারে। লিটন কীভাবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেন, তা দেখার অপেক্ষা। বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাস গতকাল সংবাদ সম্মেলনে চোটগ্রস্ত তামিম ও তাসকিনকে নিয়ে বলেছেন, এটি এমনই এক ফরম্যাট, যাতে আমরা ঘরের মাঠে প্রতিটি ম্যাচেই ভালো খেলি। আমরা আমাদের দুজন শীর্ষ খেলোয়াড়কে পাব না, কিন্তু যাদের আমরা পাচ্ছি তারাও পারফর্ম করার সামর্থ্য রাখে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply