fbpx

মিয়ানমারের উস্কানিতে পা না দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা কূটনীতিকদের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ‘মিয়ানমারের উস্কানিতে পা না দিয়ে’ উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে শান্তিপূর্ণভাবে সামাল দেয়ায় বাংলাদেশের ‘চরম ধৈর্য্যের’ প্রশংসা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিকদের (আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো ছাড়া) ব্রিফিংয়ের পর ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব এডমিরাল (অবঃ) খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তাদের নিজ নিজ দেশ জাতিসংঘে এই ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে।’

ব্রিফিংকালে মিয়ানমার থেকে আর কোন মর্টারের গোলা বা গুলি যেন এদেশে না আসে, সেজন্য পদক্ষেপ নিতে ঢাকা কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

বাংলাদেশ মিয়ানমারের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব আরো বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি যে, মিয়ানমারকে গোটা অঞ্চলকে অস্থিতিশীল এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাধা সৃষ্টি করতে দেয়া যাবে না।’

মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতে বাংলাদেশ সীমান্তে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত শুক্রবার নো-ম্যানস ল্যান্ডে গোলার আঘাতে এক রোহিঙ্গা নিহত ও অপর পাঁচ জন আহত হয়েছে।’

একই দিনে, বান্দরবার জেলার নাইখ্যাংছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে একটি স্থলমাইন বিস্ফোরণে আঙ্গানথইং তংচঙ্গা নামে এক বাংলাদেশী যুবক গুরুতর আহত হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব এডমিরাল (অবঃ) খোরশেদ আলম বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত যেন বাংলাদেশীদের ওপর কোন ধরনের চাপ সৃষ্টি না করে, সেজন্য পদক্ষেপ নিতে তারা কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

দূতগণ বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা মনযোগ দিয়ে শোনেন এবং যথাসময়ে তাদের সংশ্লিষ্ট দেশকে এ বিষয়টি অবহিত করবেন বলে আশ্বাস দেন।

এক প্রশ্নের জবাবে খোরশেদ আলম বলেন, মিয়ানমার বরাবরই একই দাবি করে আসছে যে, বাংলাদেশে যে গোলাগুলো আঘাত হানছে, সেগুলো মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মি ও এআরএসএ নিক্ষেপ করেছে।

সোমবার, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব ঢাকায় আসিয়ান দেশগুলোর হেডস অব মিশনকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে একই ব্রিফ করেন।

এর আগে রবিবার, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বার্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে উচ্চ সতর্কতাবস্থায় রাখা হয়।

ওই দিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনায় ঢাকার প্রতিবাদলিপি হস্তান্তরের জন্য ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত আং কিউ মোয়েকে এক মাসে চতুর্থ দফা তলব করে।

তথ্যসূত্র: বাসস

Advertisement
Share.

Leave A Reply