fbpx

মিয়ানমার থেকে আর কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে আর কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মিয়ানমারের লোক আমাদের দেশে যেন আর আসতে না পারে সে জন্য বিজিবিকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চা শ্রমিকদের ভার্চুয়াল মতবিনিময় উপলক্ষে সিলেটের লাক্কাতুরা বাগানে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে আবারও সংঘাত হচ্ছে ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অত্যাচারিত লোকজনকে ওই এলাকা সরে যেতে বলা হয়েছে। ফলে ভয় হয়, অত্যাচারীরা হয়তো আমাদের দেশের দিকে আসতে শুরু করবে। তবুও আমরা সর্তক রয়েছি। আমাদের বর্ডারে সতর্কতামূলক অবস্থা গ্রহণ করেছি।’

মোমেন বলেন, ‘মিয়ানমারের ঘটনাটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে ফেরে এসে পড়েছে মিয়ানমারের গোলা। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটলো মিয়ানমার।’

দ্বিতীয় দফায় শনিবার মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবান সীমান্তবর্তী এলাকায় পড়ার বিষয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এই বিষয়ে আলাপ করেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, তিনি তার সরকারের সঙ্গে এই নিয়ে আলাপ করবেন এবং এমন দুর্ঘটনা আগামীতে যাতে না ঘটে বিষয়টি তারা দেখবেন বলেও জানান মন্ত্রী।

উল্লেখ্য, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১-এর মাঝামাঝি স্থানে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার টহল দেয়। সে সময় তাদের যুদ্ধবিমান থেকে প্রায় ৮-১০টি গোলা ছোড়া হয়। এছাড়া হেলিকপ্টার থেকেও আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫টি গুলি করতে দেখা যায়। যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা সীমান্ত পিলার ৪০ বরাবর আনুমানিক ১২০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ে। এই ঘটনার পর থেকে সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।

এর আগে, ২৮ আগস্ট বেলা ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টারশেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়েছিল।

Advertisement
Share.

Leave A Reply