‘কথা ছিল একটি পতাকা পেলে, আমি আর লিখবোনা বেদনার অঙ্কুরিত কবিতা। কথা ছিল একটি পতাকা পেলে আমাদের সব দুঃখ জমা দিব যৌথ খামারে।’ হেলাল হাফিজের লেখা এই কবিতার মতোই বলতে হয় স্বাধীনতার ৫০ বছরে কথা ছিল অনেক কিছুই, যেমন কথা ছিল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্য দিয়ে কলঙ্ক মোচনের।
অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের পথে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু হলো কই ? এখনও শোনা যায় দেশে অনেক মুক্তিযোদ্ধার নীরব কান্না। মুক্তিযুদ্ধের সনদ হাতে নিয়েও ঢাকার রাস্তায় মানুষের কাছে হাত পেতে সাহায্য চাইছেন এক মুক্তিযোদ্ধা।
তার নাম মনসুর আলী ঘরামী। ঢাকা শহরের নানা জায়গায় ভিক্ষা করেন, সাথে আছে তিনি যে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তার সকল প্রমাণপত্র। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি এখনো মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লেখাতে পারেননি। প্রমাণপত্র নিয়ে ঘুরেছেন নানা দ্বারে। ইউনিয়ন পরিষদ,উপজেলা কিংবা সংসদ সদস্যর দরবারে। ক্ষয় করছে শুকতলি। আশারবাণী শুনেছেন অনেক কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই।
বরিশালে গৌরনদীতে এক টুকরো বসতভিটা, সে ঘরে থাকার উপায় নেই। ভাতের সন্ধানে তাই রাজধানীতে। নিজের পেট বাঁচিয়ে সংসারের জন্য পাঠাতে হয় টাকা।
বর্তমান সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান বাড়াতে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক, সামাজিক সম্মান বাড়ানোর লক্ষ্যেও কাজ করছে বর্তমান সরকার। আর্থিক নিরাপত্তার সাথে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির দাবি এই মনসুর ঘরামীর।