আজ ২৯ জুলাই মুক্তি পেয়েছে মেজবাউর রহমান সুমনের প্রথম চলচ্চিত্র ’হাওয়া’। ঢাকাসহ দেশের ২৩টি হলে দেখা যাচ্ছে ছবিটি।
প্রথম দিন ছবিটি দেখে অনেকেই তাদের মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সুমনের ‘হাওয়া’ হতাশ করেনি দর্শককে এমনটি বলছেন অনেকেই।
ছবিটি দেখে এসে নিজের ফেসবুক ওয়ালে অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি লিখেন, ’দেখলাম “হাওয়া”‼️মেজবাউর রহমান সুমন’কে কী বলা উচিত সেটা ভাবছি! এত অভাবনীয় আয়োজন! সেটা কীভাবে সাগরের বুকে করা সম্ভব হল সেটা এখনও মাথায় ঘোর লাগা! চঞ্চল!! তুমি এত এত নিষ্ঠুর অভিনয়ও যে এত সহজে করতে পারো সেটা ভাবি নাই বন্ধু‼️ তুমি এত খারাপ⁉️ শরীফুল রাজ! কাল দেখেছি “পরান”। আজ “হাওয়া”! দুটোই ভিন্ন ভিন্ন রুপে! তোমার অভিনয় যোগ, আমাদের ইন্ডাষ্ট্রিকে সমৃদ্ধ করবে।
নাসির উদ্দিন খান! জাস্ট স্যালুট! সুমন আনোয়ার, সোহেল মন্ডল, পার্কিস (আসল নাম জানিনা) সুপার সে উপর সুপার।তুষি’র সাবলিল রহস্যময়তা খুব ভাল ছিল! সাদা সাদা , কালা কালা,রং জমেছে সাদা কালা। মাদক এবং কু-সংস্কার/অন্ধত্ব দূর হোক। আমাদের সিনেমা হলগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হোক। সুস্থ সিনেমা দেখে সবাই ঘরে ফিরে গল্প করুক,-আর কী কী হতে পারতো! হাওয়া”র পুরো টীমের জন্য ভালবাসা।’
লেখক ও গায়ক শিবু কুমার শিল লিখেছেন, ’এইমাত্র পুরো ছবিটা দেখে হল থেকে বেরুলাম। আমি মন্ত্রমুগ্ধ। হ্যাঁ আমাদের ছবি দেখে আমিই হতবিহ্বল। এ ছবি পৃথিবীর অন্য ভাষাভাষী, চলচ্চিত্রের অনুরাগীদের দেখা উচিত। আমাদের চলচ্চিত্রের নতুন ভাষা, প্রকাশের যেনো এক নতুন ইশারা এই ছবি। প্রত্যেকটি চরিত্র কি অনবদ্য ছিল তা না দেখলে বোঝা যায় না। সঙ্গীত আর শব্দ পুরো ছবির দ্যোতনাকে অন্যস্তরে নিয়ে গেছে। প্রিয় বন্ধু Mejbaur Rahman Sumon তোকে আর তোর হাওয়ার সদস্যদের অভিনন্দন। সকলে হলে গিয়ে হাওয়ার অভিজ্ঞতা নিন। জয় গুরু!’
মিডিয়া ব্যক্তিত্ব গাউসুল আলম শাওন তার প্রতিক্রিয়া জানান এভাবে, ’হাওয়া’ দেখে বের হলাম। আসলে কি বের হলাম?! গাড়িতে বসে আছি, আর মাথার মধ্যে হাওয়া ঘুড়ছে। মাথার মধ্যে নাগু, উরকেস, পারকেস, গুলতি, ইব্রা, চাঁন মাঝি- ঘুড়ছে। কী অদ্ভূত এক ঘোরের মধ্যে সুমন আমাদের নিয়ে গেলো। ভাবা যায় না!! বাংলা সিনেমায় নতুন গল্প, নতুন দিন ‘হাওয়া’।’
স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, স্টার সিনেপ্লেক্সের সব শাখায় প্রতিদিন ‘হাওয়া’র ২৬টি শো চলবে। এরই মধ্যে প্রথম তিন দিনের অগ্রীম টিকেট বিক্রি শেষ। রাজধানীর ব্লকবাস্টার সিনেমাসে ‘হাওয়া’র প্রতিদিন ৯টি শো রাখা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল মুভি থিয়েটারের তিন দিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ। এখন পরের দিনগুলোর টিকিট বিক্রি চলছে। নারায়ণগঞ্জের সিনে স্কোপের চলতি সপ্তাহের টিকিট সোল্ডআউট।
বুড়িগঙ্গার ওপারে লায়ন সিনেমাসের দুটি হলের একটির দুই দিনের আগাম টিকিট বিক্রি শেষ হওয়ার কথা জানান এর পরিচালক মুশফিকুর রহমান।
শ্যামলী কমপ্লেক্স, রুটস সিনেক্লাব (সিরাজগঞ্জ)-এ ইতোমধ্যে ‘হাওয়া’র অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছে। এখানেও প্রথম ৩দিন দিনের টিকেট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অতল সমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি ফিশিং ট্রলারে আটকে পড়া আটজন মাঝি মাল্লা এবং এক রহস্যময় বেদেনীকে ঘিরে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। নির্মাতার বরাতে জানা গেছে, হাওয়া চলচ্চিত্রটি মূলত একালের রূপকথা, বহুল প্রচলিত এই ফর্মটি সিনেমার পর্দায় নতুন আঙ্গিকে দেখতে পাবেন দর্শক।
মেজবাউর রহমান সুমনের কাহিনী এবং সংলাপে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন জাহিন ফারুক আমিন, সুকর্ণ সাহেদ ধীমান ও মেজবাউর রহমান সুমন।
এতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরীফুল ইসলাম রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভী রিজু, মাহমুদ আলম এবং বাবলু বোস। চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ করেছেন কামরুল হাসান খসরু, সম্পাদনা সজল অলক, আবহ সঙ্গীত রাশিদ শরীফ শোয়েব, এবং গানের সঙ্গীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী।
চলচ্চিত্রটির নির্মাণ সংস্থা ফেইসকার্ড প্রোডাকশন এবং প্রযোজনা সংস্থা সান মিউজিক এন্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড । ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে নভেম্বরে ছবিটির শুটিং হয় গভীর সমুদ্রে।