fbpx

মেয়ের জন্ম গোপন রাখতে যা করেছিলেন ধর্মেন্দ্র

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

হিন্দি সিনেমার লিজেন্ডারি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। পুরো নাম ধরম সিং দেওল। ১৯৩৫ সালের ডিসেম্বর মাসের ৮ তারিখ পাঞ্জাব প্রদেশের লুধিয়ানা জেলার নাসরালি গ্রামে তার জন্ম।

১৯৬০ সালের চলচ্চিত্র ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’ তে অভিনয়ের মাধ্যমে ধর্মেন্দ্র বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন।

সিনেমায় প্রবেশেরও বেশ কিছু আগে ১৯৫৪ সালে ধর্মেন্দ্রর বাবা মা তাকে প্রকাশ কৌর নামক উনিশ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে দেন, তখন ধর্মেন্দ্রর বয়সও উনিশ ছিলো, প্রকাশ কৌর এবং ধর্মেন্দ্রর চারজন সন্তান হয়, দুই ছেলে সানি দেওল এবং ববি দেওল যারা পরবর্তীতে বাবার পথে হেঁটে ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেতা হিসেবে অবস্থান তৈরি করেন এবং দুটি মেয়ে বিজেতা এবং অজিতা কোনো কর্মজীবনে প্রবেশ করেননি।

প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ না করেই ১৯৮০ সালে অভিনেত্রী হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। বিয়ের পর পরই অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েন হেমা। একটা সময় ছিল যখন তারকারা তাদের ইমেজ নিয়ে ভীষণ রকম সচেতন ছিলেন। বিয়ে-সন্তান কোনও কিছু প্রকাশ্যে আনতে চাইতেন না। যদিও বর্তমান সময়ে সেই রীতিতে বদল এসেছে বলিউডে। তবে আশির দশক কিংবা নব্বইয়ের দশকের ভীষণ ভাবেই গোপনীয়তা বজায় রেখে চলতেন তারকারা।

সহ অভিনেত্রী হেমা মালিনীর সাথে ধর্মেন্দ্রর প্রেমের গুঞ্জনও তখন শোনা যেত তবে সম্পর্কে গোপনীয়তা বজায় রেখেছিলেন তারা।

১৯৮১ সালের ২ নভেম্বর জন্ম হয় ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর কন্যা এষা দেওলের। যেহেতু সেই সময় নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি, তাই এষার জন্মের সময় কাউকে না জানিয়ে ১০০টি ঘরের একটা গোটা হাসপাতাল অগ্রিম বুক করে রাখেন ধর্মেন্দ্র।

২০০২ সালে ‘জিনা ইসি কা নাম হ্যায়’ শোয়ে হাজির হয়েছিলেন হেমা মালিনী। তার সঙ্গে এসেছিলেন বন্ধু নীতু কোহলি। তিনিই ফাঁস করেন ২২ বছর আগের গোপন সব কথা। বলেন, ‘যখন এষার জন্ম হবে, তখন কেউ জানত না যে হেমা অন্তঃসত্ত্বা। তাই ধর জি (ধর্মেন্দ্র) এষার জন্য পুরো হাসপাতাল বুক করে রেখেছিলেন। এটি ছিল ড: দস্তুরের নার্সিংহোম যেখানে প্রায় ১০০টি ঘর ছিল। তিনি এষার জন্মের আগে সেই ১০০ টি ঘর বুক করে নেন।… কেউ জানত না যে ধরমজি এই কাজটি করেছিলেন।’

এই ঘটনা জানার পর  নেটিজেনদের একাংশ সমালোচনা করেছেন। সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে হাসপাতাল নির্মাণ। সেখানে কোনও রকম সঙ্কটে শুধুমাত্র তারকাদের খেয়ালখুশির জন্য হাসপাতালে বেড না পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। তাই ধর্মেন্দ্র আদতে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করেছিলেন বলেই মনে করেন অনেকে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply