যতই বাধা আসুক না কেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে আসা না আসা যেকোনও দলের নিজস্ব ব্যাপার, কিন্তু নির্বাচন হতে না দেওয়ার আস্ফালন করে লাভ নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একবার শুনি রাজপথ দখলে নেবে, আবার শুনি সরকারকে টেনে নামাবে, কখনও শুনি নির্বাচন হতে দেবে না। আসলে বিএনপির সক্ষমতা কতটুকু তা আমাদের জানা আছে।’
বৈশ্বিক সংকটের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির সরবরাহে অস্থিতিশীলতা ও মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। এ সংকট কোনও দেশের নয়, এ সংকট সারা বিশ্বের। এ বাস্তবতা অনুধাবন না করে বিএনপি ও তার দোসররা শুধু বাংলাদেশ সরকারকে দায়ী করছে বলেও অভিযোগ করেন কাদের।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিয়ে বলুন। কোথায়, কারা, কে দুর্নীতি করছে। দুর্নীতির প্রশ্নে শেখ হাসিনা সরকারের শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কোনও নড়চড় হয়নি।’
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পরিবহন ভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে কিন্তু কোনও কোনও পরিবহন বাড়তি ভাড়া আদায় করছে, এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকছেন। বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তরা তা বাস্তবে প্রয়োগ করবেন।’
যারা সমন্বয়কৃত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায়ের চেষ্টা করছেন, তারা আমাদের মনিটরিংয়ের আওতায় রয়েছেন। তাই আবারও তাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো বলেও হুঁশিয়ারি দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
পরিবহনে যারা পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ ও ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটায় তাদের গণশত্রু আখ্যায়িত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করছে। এদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।’
