নেট দুনিয়ায় আমরা এখন নানা ইন্টারনেট কোম্পানির হাতে বন্দী। কেননা গুগল,ফেসবুক,ইনস্টাগ্রামের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছে আমাদের যাবতীয় তথ্য রয়েছে। তারা চাইলেই আপনার সব তথ্য অন্যের কাছে বিক্রি করে দিতে পারে। আর অবাক হলেও এখন এটিই সত্যি। এসকল প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষের তথ্য বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় করে।
তবে এমন এক কোম্পানি আছে, যারা গ্রাহকদের কাছ থেকেই তথ্য কিনে নিচ্ছে এবং সেটি বিক্রি করে দিচ্ছে। সরাসরি গ্রাহকদের তথ্য বিক্রির সুযোগ করে দেওয়া এ কোম্পানির নাম ‘বিটস অ্যাবাউট মি’।
কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস্টিয়ান কুনৎস বলেন, ‘আমাদের কাছে এসে সব করণীয় কাজ করলে বর্তমানে প্রায় ১০০ ইউরো আয় করা যায়।’
জানা গেছে, এখানে তথ্য বিক্রির আগে প্রথমে প্রতিষ্ঠানটির পোর্টালের সঙ্গে সবার আগে নিজের তথ্য যুক্ত করতে হবে। এরপর ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো সেই তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। যেমন কোনো ব্যক্তি কোথায় কেনাকেটা করেছে, কোথায় ঘুরতে যাচ্ছে, কোন রেস্টুরেন্টে খেতে যাচ্ছে ইত্যাদি। তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন অনুযায়ী কোম্পানিগুলো সেই তথ্য ব্যবহারকারীদের নাগালে রাখতে বাধ্য।
জার্মানিতে ‘বিটস অ্যাবাউট মি’ প্রতিষ্ঠানটির কাছে ১০ হাজার ব্যবহারকারীও নেই। তাহলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, কোনো কোম্পানি কেন তাদের কাছ থেকে তথ্য কিনবে?
এমন প্রশ্নের জবারে কুনৎস বলেন, ‘ব্যবহারকারি হিসেবে গুগলের তুলনায় আমার হাতে অনেক বেশি তথ্য রয়েছে। কারণ গুগল, ফেসবুক, ব্যাংকিং, নেটফ্লিক্স, স্পটিফাই, লয়েলটি কার্ডসহ যাবতীয় তথ্য তো ব্যবহারকারির হাতেই রয়েছে। কোনো একটি প্ল্যাটফর্ম এতো তথ্য দিতে পারে না। পরিমাণ ও মানের নিরিখে তার মূল্য অনেক বেশি।’
‘বিটস অ্যাবাউট মি’ সম্প্রতি বাড়তি পরিষেবার মাধ্যমে আরও গ্রাহক আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে। যেমন নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে ব্যক্তিগত কার্বন ফুটপ্রিন্ট হিসেব করা যায়৷ অনেকের জীবনযাত্রা অনুকরণ করলে প্রায় দেড়খানা পৃথিবীর প্রয়োজন হবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
ক্রিস্টিয়ান কুনৎস মনে করেন, ‘’আমরা প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছি৷ পাঁচ মিনিট ধরে ইনস্টাগ্রাম ঘাঁটলেই হলো। এই মুহূর্তে এই বিষয়ে আগ্রহী মানুষ সেই কাজের জন্য পাঁচ মিনিট ব্যয় করতে পিছপা হচ্ছেন না৷ সেইটুকু সময় দিতেই হবে৷’