fbpx

যা মজুত আছে তাতে খাদ্যসংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই: খাদ্যমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে খাদ্য সংকটের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

এর আগে ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন দেশের কোনো জমি যাতে অনাবাদি না থাকে তার জন্য তার মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘চলতি আমন মৌসুমের পরই আসছে বোরো মৌসুম। আমরা পদক্ষেপ নেব যাতে সব চাষযোগ্য জমিতে বোরো চাষ হয়। আমরা ইতোমধ্যেই কৃষি মন্ত্রণালয়কে বলেছি আসন্ন বোরো মৌসুমে যথাযথ সেচের ব্যবস্থা করতে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ফসলের মৌসুমে কৃষকরা যাতে সর্বোচ্চ উৎপাদনের জন্য তাদের জমি চাষ করতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সংসদ সদস্যকে তাদের নির্বাচনী এলাকায় সতর্ক থাকতে বলেছেন। যেকোনো সংকট এড়াতে সরকার কৃষকদের উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহিত করছেন তিনি।

সাধন চন্দ্র বলেন, আমাদের উর্বর জমিতে অসংখ্য ফসলের চাষ হয়। আমরা পাই আমন, আউশ ও বোরো। যদিও এ বছর বৃষ্টিপাত কম বা না হওয়ায় খরার মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, পরে জুলাই-আগস্টের বৃষ্টিপাত আমাদের ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। কিছু ফসল আছে, যেগুলো রোপণ করতে দেরি হয়েছে। তাই সেগুলোর ঘাটতি হতে পারে। সব মিলিয়ে যেকোনো ধরনের খাদ্য সংকট মোকাবিলায় আমরা অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি।

দেশে বর্তমানে কী পরিমাণ খাদ্য মজুত রয়েছে জানতে চাইলে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রত্যেককে খাওয়ানোর জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের কাছে ১৭ লাখ টন চাল মজুত রয়েছে। আরও পাঁচ লাখ ৩০ হাজার টন চাল পাইপলাইনে রয়েছে। এছাড়া শিগগিরই মিয়ানমার থেকে ৩০ হাজার টন চাল নিয়ে একটি জাহাজ বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ আমাদের কাছে মোট ২০ লাখ টন চাল মজুত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের খাদ্য চাহিদা মেটানোর ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।

তিনি বলেন, যদি দেখি যে কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন তাহলে আমরা এই এসআরও (সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক আদেশ) বাড়াব।’মন্ত্রী আরও বলেন, ‘উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায় সে বিষয়ে কৃষি মন্ত্রনালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয় করে মনিটরিং করা হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply