২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ ৭১৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। যা ২০২০ সালের চেয়ে প্রায় ৩৭ শতাংশ বেশি।
আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার ৮৪০ টাকা। এটি গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে সাড়ে ৪৫ শতাংশ বেশি।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এমন তথ্য মিলেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চলতি জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো ৭৫৪ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, যা গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি।
বাণিজ্যযুদ্ধ ও করোনার কারণে বছর বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজার হারাচ্ছেন চীনের পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। সেই ব্যবসা এখন পাচ্ছে ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ- এমনটাই মনে করছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা।
অটেক্সা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন আবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত জানুয়ারিতে চীন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১৯১ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি রয়েছে। এর আগের বছরের জানুয়ারিতে ১২৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে চীন। সে হিসেবে এ বছরের জানুয়ারিতে ৪৭ শতাংশ বেশি পণ্য রপ্তানি করেছে চীন।
তবে ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানি তেমন বাড়ে নি। যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দেশটিতে ভিয়েতনামের রপ্তানি খুব বেশি বাড়েনি। গত বছরের জানুয়ারিতে দেশটি ১০৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছিল, সেখানে এবার করেছে ১২৮ কোটি ডলার। তাদের রপ্তানি বেড়েছে ১৯ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৃতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ। চতুর্থ স্থানে আছে ভারত। জানুয়ারিতে তাদের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৪ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেশি।
পঞ্চম স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়া গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ৫৭ শতাংশ বেশি।
