fbpx

যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান গভীর করবে সামরিক সম্পর্ক

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নেতারা সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরো গভীর করতে সম্মত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (১৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডের এক সম্মেলনে দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের ‘বিপজ্জনক ও আক্রমণাত্মক আচরণের’ নিন্দা জানায় দেশ তিনটি। খবর রয়টার্স।

চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি ও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির মুখে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার লক্ষ্যে জো বাইডেন প্রশাসন এশিয়ার প্রধান মিত্রদের সঙ্গে এই শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করে। এতে উপস্থিত ছিলেন জো বাইডেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশ তিনটি সংকটের সময়ে কিছু পদক্ষেপ নিতে একমত হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় তারা দ্রুত পরস্পরের সঙ্গে পরামর্শ করবে। আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ, উস্কানি ও অভিন্ন স্বার্থকে প্রভাবিত করে এমন সব হুমকির প্রতিক্রিয়া একসঙ্গে মোকাবেলা করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বার্ষিক সামরিক প্রশিক্ষণ ও চলতি বছরের শেষ নাগাদ থেকে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের রিয়েল-টাইম তথ্য ভাগাভাগি করতে সম্মত হয়েছে। এছাড়া প্রতি বছর ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

মেরিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এ শীর্ষ সম্মেলন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে প্রথম স্বতন্ত্র বৈঠক।

বিবৃতিতে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনে বেআইনি সামুদ্রিক দাবির ‘বিপজ্জনক ও আক্রমণাত্মক আচরণের’ তীব্র বিরোধিতার কথা জানানো হয়। তাদের দাবি, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনে একতরফা চেষ্টা করছে বেইজিং।

এ বিবৃতির পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করেনি চীন। দেশটির ওয়াশিংটন দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেছেন, কে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিচার করতে সক্ষম।

এটি ছিল বিদেশী নেতাদের সঙ্গে ক্যাম্প ডেভিডে বাইডেনের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন। কিশিদা ও ইউনের সঙ্গে বৈঠককে তিন দেশের জন্য ‘একটি নতুন যুগ’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply