fbpx

যে মসজিদে নামাজ পড়া নিষেধ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

স্পেনে এমন এক মসজিদ রয়েছে যেখানে নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।এক সময় শত শত বছর এই কর্ডোভা মসজিদই ছিল মুসলিম শাসনের কেন্দ্রবিন্দু। মসজিদের অবকাঠামো, কারুকাজ ও সৌন্দর্য সবকিছু  থাকলেও নেই কেবল মুসলিমদের নামাজ ও ইবাদতের কোনো কার্যক্রম। আজও সৌন্দর্য ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে কর্ডোভা মসজিদ।

যে মসজিদে নামাজ পড়া নিষেধ

খলিফা প্রথম আব্দুর রাহমানের শাসনামলে ৭৮৪ থেকে ৭৮৬ সালে আন্দালুসিয়ার কর্ডোভায় নির্মিত হয় ঐতিহাসিক কর্ডোভা মসজিদটি। পরে অন্যান্য শাসকের মাধ্যমে মসজিদের সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্যবর্ধন ঘটে। স্প্যানিশ ভাষায় এই মসজিদ লা মেজিকেতা নামে পরিচিত। কর্ডোভা মসজিদটি মুরিশ স্থাপত্যের সর্বাপেক্ষা নিখুঁত স্তম্ভগুলোর মধ্যে একটি। সে সময় মসজিদটি ইসলামি শিক্ষা, শরিয়া আইন ও সালিশ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

 

যে মসজিদে নামাজ পড়া নিষেধ

কর্ডোভা মসজিদ নির্মাণে সেকালেই আড়াই থেকে তিন লাখ মুদ্রা ব্যয় করা হয়েছিল। পূর্ব-পশ্চিমে এর দৈর্ঘ্য ছিল ৫০০ ফুট। এর সুন্দর ও আকর্ষণীয় মিহরাবগুলো স্থাপিত ছিল পাথরের নির্মিত এক হাজার ৪১৭টি স্তম্ভের ওপর। সেগুলোর ওপর ছিল হরেক ধরনের হীরা-জহরতের কারুকাজ। দীর্ঘ সাত বছরের পরিশ্রমে মিম্বরটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৮৪ সালে ঐতিহাসিক এ মসজিদটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত দেয়। মসজিদের ভেতরে ঢোকার জন্য টিকিট ফি ১০ ইউরো। প্রতিদিন ঐতিহাসিক মসজিদটি দেখার জন্য অনেক এ পর্যটক ভিড় করেন।

যে মসজিদে নামাজ পড়া নিষেধ

হৃদয়গ্রাহী নকশা ও স্থাপত্যশৈলীর জন্য নবম ও দশম শতাব্দীতে এটি ছিল সারা বিশ্বের প্রথম সারির মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুসলমানদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আন্দালুসিয়াকে বিভক্ত করে ফেলে। মুসলমানদের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ক্যাসলের রাজা ফার্দিনান্দ ও রানী ইসাবেলা ১২৩৬ সালে স্পেন দখল করলে এই মসজিদকে গির্জায় পরিণত করা হয়। তখন থেকে একে বলা হয় দ্য মস্ক ক্যাথেড্রাল অব কর্ডোভা। স্থাপনের পর থেকে মুসলিমরা এখানে নামাজ আদায় করেছিল প্রায় পাঁচশ বছর ধরে। এর সুউচ্চ চারকোনা আকৃতির মিনারটি নির্মাণ করেছিলেন খলিফা তৃতীয় আব্দুর রাহমান। এক সময় সুন্দর সেই মিনার থেকে ভেসে আসত আজানের ধ্বনি। কিন্তু গির্জায় রূপান্তরিত হওয়ার পর মিনারটিতে অসংখ্য ঘণ্টা লাগানো হয়েছে।

যে মসজিদে নামাজ পড়া নিষেধ

বর্তমানে কর্ডোভা মসজিদে জুতা পরিহিত অবস্থায় প্রবেশাধিকার রয়েছে এবং সেখানে নামাজ আদায় করা এখন নিষিদ্ধ। মুসলিম সভ্যতার অনন্য নিদর্শন এই কর্ডোভা মসজিদটি এখনো গির্জা হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply