fbpx

যৌন নির্যাতনের অভিযোগে উপসচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সাবেক পরিচালক এ. কে. এম. রেজাউল করিমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। যৌন নির্যাতনের মামলা তুলে নিতে বাদীকে চাপ দেওয়ার অভিযোগে উপসচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানোর কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে কর্মরত থাকাকালে রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত শেষে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। এরপর মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় আরেকটি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। এরপর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে থাকায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

আর এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণের’ অভিযোগে বিভাগীয় মামলায় অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন। শুনানিতে তার জবাব ও প্রদত্ত বক্তব্য সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করতে একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।

গত ২৯ জুন ৩৫ নম্বর স্মারকে রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা সেই মর্মে তদন্ত প্রতিবেদনও দাখিল করেছেন।

এরপর তাকে গুরুদণ্ড দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। গত ১৪ আগস্ট তার দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব পর্যালোচনা করে তাকে গুরুদণ্ড হিসেবে সরকারি চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসরে’ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সরকারি কর্মকমিশনও তাতে একমত পোষণ করে।

জানা যায়, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা রেজাউল করিম রতন ২০১৭ সালে মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালে ওই কলেজেরই এক ছাত্রী এই মামলার বাদীর সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। এরপর প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ওই ছাত্রীকে তিনি যৌন নির্যাতন করেন। সেই ঘটনার ভিডিও আছে বলে হুমকি দিয়ে পরে তাকে যৌন নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই অভিযোগে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়। মামলা করার আগের মাসে রেজাউল করিম রতনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে একটি মামলা করেছিলেন ওই ছাত্রী। দুই মামলাতেই ধানমন্ডি থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়ার পর রতনকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সাময়িক বরখাস্তের আগে এ কে এম রেজাউল করিম উপসচিব পদমর্যাদায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply