আসি আসি করেও এবছর নগরীতে অবশেষে শীত এলো দেরিতে। সাধারণত অগ্রাহায়ণ মাসেই দেশে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। কিন্ত এবার শীতের দেখা মিললো পৌষের শুরুতে। সেই সঙ্গে রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শরিফুন নেওয়াজ কবির বলেন, ‘ঢাকায় এখন শীত থাকবে। একই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলেও শীতের প্রকোপ বাড়বে। এ সময়ে এমন কুয়াশা থাকা স্বাভাবিক।
তিনি আরও জানান, ‘আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গাতে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের একমাস মেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, মধ্য ডিসেম্বরের পরে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সব জেলায় তাপমাত্রা কমে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। এ সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়াতে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর রাজধানীতে ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা খানিকটা কমতে পারে।