fbpx

রাজধানীর চারপাশে চলবে স্পিডবোট, দুই রুটে উদ্বোধন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

যাত্রী পরিবহনের জন্য রাজধানীর চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল টঙ্গী নদী বন্দর থেকে এ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

প্রাথমিকভাবে পাঁচটি দ্রুতগামী স্পিডবোট দিয়ে এই সার্ভিস চালু করা হয়েছে। বেসরকারি উদ্যোগে প্রথম পর্যায়ে আব্দুল্লাহপুর থেকে কড্ডা এবং আব্দুল্লাহপুর -উলুখুল (কালীগঞ্জ); এই দুই রুটে স্পিডবোট চলাচল করবে। আব্দুল্লাহপুর থেকে কড্ডা রুটে ভাড়া পড়বে ১৫০ টাকা। স্পিডবোটে এই রুটে চলাচলে সময় লাগবে ২৫ মিনিট। আর আব্দুল্লাহপুর থেকে উলুখুল (কালীগঞ্জ) যেতে ভাড়া দিতে হবে ১২০ টাকা। এই যাত্রায় সময় লাগবে ১৯ মিনিট।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পর্যায়ক্রমে যাত্রী চাহিদার আলোকে কড্ডা-গাবতলী এবং গাবতলী-সদরঘাট; এই দুইটি নৌরুটেও স্পিডবোট চালু করা হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা শহরের চারিদিকে বৃত্তাকার নৌপথ চালু করে সড়কপথে যানবাহনের চাপ কমানো এবং নৌপথে সাশ্রয়ীমূল্যে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্যে কয়েকটি ধাপে ঢাকার চারটি নদীর ১১০ কিলোমিটারে নৌপথে নৌযান পরিচালনার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক বৃত্তাকার নৌপথের নদী খননসহ ৯টি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণের মাধ্যমে নৌপথটি চালু করা হয়। বর্তমানে উক্ত নৌপথে মালামাল পরিবহন ব্যবস্থায় গুরুত্ব পেলেও লো-হাইটের ব্রিজ, অতিরিক্ত সময় এবং যাত্রীবান্ধব পরিবেশের অভাবে সাশ্রয়ীমূল্যে পরিবহন ব্যবস্থা যাত্রীবান্ধব করা সম্ভব হয়নি।

পরবর্তী সময়ে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃক ওয়াটার বাস চালু করা হলেও বিভিন্ন কারণে তা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে টঙ্গী নদীবন্দর হতে বৃত্তাকার নৌপথে যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুতগামী স্পিডবোট-চালুর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তাছাড়া যাত্রী চাহিদার আলোকে ঢাকা শহরের বৃত্তাকার নৌপথে নতুন নৌপথ সৃষ্টি করে দ্রুতগামী স্পিডবোট চালুর আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নৌপথে স্পিডবোট সেবা উদ্বোধনের আগে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল টঙ্গী নদী বন্দরে বিআইডব্লিউটিএ’র ইকোপার্ক উদ্বোধন করেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply