fbpx

রাত ১২টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান খোলা রাখা যথেষ্ট: ঢাদসিক মেয়র

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দক্ষিণ সিটির মহল্লার ‍ওষুধের দোকান রাত ১২টা পর্যন্ত এবং হাসপাতাল সংলগ্ন ওষুধের দোকান রাত ২টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে। ওষুধের মতো জরুরি সেবাকে দেওয়া এ সময় যথেষ্ট বলে মনে করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (২৪ আগস্ট) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক যাত্রাপথে বাস থামার স্থান পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘ওষুধের দোকান এবং ওষুধ সেবাকে আমরা সর্বোচ্চ সময় দিয়েছি। অলিগলি, বিভিন্ন এলাকায় সেগুলোকে আমরা বারোটা পর্যন্ত খোলা রেখেছি। আর যেগুলো হাসপাতালের সাথে সংশ্লিষ্ট, সেগুলোকে আমরা দুইটা পর্যন্ত খোলা রেখেছি। আমরা মনে করি, এটা যথেষ্ট। সর্বোচ্চ সময় ঔষধ এবং স্বাস্থ্য সেবা খাতকে দেওয়া হয়েছে।’

এসময় মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করতে মেট্রোরেলে চলাচলকারী যাত্রীদের জন্য ঢাকা নগর পরিবহনের যাত্রী সেবা সমন্বয় করা হবে বলে জানান তিনি।

তাপস বলেন, ‘এই শাহবাগ একটি অত্যন্ত জনবহুল ও ব্যস্ত এলাকা। এখানে যেহেতু মেট্রোরেলের নামার ২টি স্থান হবে, তার সাথে সাথে যদি আমরা ঢাকা নগর পরিবহনের যাত্রী সেবাটা মেট্রোরেলের সাথে সমন্বয় করতে পারি, তাহলেই সকল ক্ষেত্রেই যাত্রীরা মানসম্পন্ন সেবা পাবে। এই সমন্বয় করার জন্যই আমরা এসেছি এবং আমরা দেখেছি এখানে সাংঘর্ষিক কিছু হচ্ছে না। এখানে সুন্দরভাবে সমন্বয় করে কাজটি করা যাবে।’

মেট্রোরেলের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর শাহবাগে ২টি বাস-বে/ যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র বলেন, ‘এখানে হাঁটার পর্যাপ্ত জায়গা রাখা হবে এবং একটি সারি সম্পূর্ণরূপে বাসের জন্য রাখা হবে। মেট্রোরেল থেকে যারা নামবেন তারা যেন স্বাচ্ছন্দে বাসের সেবা নিতে পারেন এবং অন্যান্য গন্তব্যস্থলে যেতে পারেন। সেজন্য এখানে দুটো যাত্রী ছাউনি হবে। একটি এপারে এবং আরেকটি ওপারে। মেট্রোরেলের কারণে এই দুটো যাত্রী ছাউনি নির্মাণে আমাদের একটু সময় লাগবে। আপাতত এখানে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করব না। মেট্রোরেলের কাজ সম্পন্ন হলে আমরা এই দুটো যাত্রী ছাউনি/ বাস-বে আমরা চালু করবো।’

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, ‘ঢাকা শহরের সকল কিছুর পরিচালনা একটি সূচির আওতায় আসতে হবে। সে লক্ষে আমরা একটি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট সকলে আমাদেরকে সহায়তা করবে। কারণ ঢাকাকে আমরা একটি সুষ্ঠু সময় সূচির মাধ্যমে পরিচালনা করতে চাই। এটাই সারাবিশ্ব করে। প্রত্যেকটা শহরের একটি সময়সূচি থাকে। কিন্তু ঢাকা শহরের কোনও সময়ই কোনও সময় সূচি ছিল না। এটাই আমরা চাচ্ছি, ঢাকার একটি সময় সূচি নির্ধারিত হবে। এ লক্ষ্যে আমরা গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে এটা পুর্নোদ্যমে কার্যকর হবে। আমি আশা করব, সবাই এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে।’

এরপরে ঢাদসিক মেয়র আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলে চলমান পুনঃখনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply