চ্যানেল আই কার্যালয়ে ৪ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় রাবেয়া খাতুনের জানাজা শেষে বাদ আসর বনানী করস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
চ্যানেল আই-এ অনুষ্ঠিত জানাজাতে অংশ নেন বড় জামাতা মুকিত মজুমদার বাবু। জানাজা শুরুর আগে পরিবারের পক্ষে তিনি কথা বলেন। তিনি রাবেয়া খাতুনের আত্মার শান্তি কামনায় সকলের দোয়া চান।
জানাজায় উপস্থিত রাবেয়া খাতুনের জন্য সকলের কাছে দোয়া চান চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। জানাজাতে অংশ নেন চ্যানেল আই ও ইমপ্রেস গ্রুপের আরেক পরিচালক রিয়াজ আহমেদ খানসহ চ্যানেল আই পরিবারের সদস্য ও রাবেয়া খাতুনের শুভাক্সক্ষীরা।
৮ জানুয়ারি বাদ জুমআ চ্যানেল আই মসজিদে রাবেয়া খাতুনের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে মরদেহ রাখা হয় সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দু, শিল্প সাহিত্যি ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। এদিন শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ নজরুল মঞ্চের বেদিতে রাখা হয়। সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান, মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ প্রমুখ।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন রাবেয়া খাতুন। অর্ধ শতাধিক উপন্যাস ও চার শতাধিক গল্প লিখেছেন তিনি। এমন একজন লেখিকার চলে যাওয়া বাংলা সাহিত্যের অপূরণীয় ক্ষতি। তারচেয়ে বড় কথা, তিনি যেই সময়ে সাহিত্য রচনা শুরু করেছিলেন, সেসময়ে নারীদের ক্ষেত্রে সেটা খুব সহজ ছিলো না। কিন্তু তিনি তার কাজে সফল হয়েছেন।’
স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত রাবেয়া খাতুন রবিবার ৩ জানুয়ারি ২০২১ বিকালে বাধ্যর্কজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।