করোনাভাইরাসের তীব্র প্রকোপে দেশে সোমবার থেকে সারাদেশে লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে লকডাউনের মধ্যে জরুরী সেবাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শর্ত সাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পকারখানাও খোলা রাখা যাবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তবে, এ সময় বন্ধ থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, মার্কেট।
আজ শনিবার (৩ এপ্রিল) বেইলি রোডের নিজ বাসা থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ কথা বলেন। তিনি এ সময় জানান, লকডাউনের সময় জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান যেমন, ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস, সংবাদপত্র অফিস, ফায়ার সার্ভিস অফিস, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা অফিস ইতাদি খোলা থাকবে। আর এর বাইরে শুধুমাত্র শিল্পকারখানাই খোলা থাকতে পারবে। তবে এসব জায়গায় শিফট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যায় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করার কথা রয়েছে। সেখানেই বিস্তারিত ঘোষণা দেওয়া হবে।
গণপরিবহন বন্ধের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা হবে না। প্রজ্ঞাপন জারি হলে সেখানে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা থাকবে।
এরআগে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার দেশে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনায় জরুরি সেবাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব অফিস ও কারখানায় অর্ধেক জনবল দিয়ে পরিচালনা, গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন, উপাসনালয়গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পালন, জনসমাগম সীমিত করা ইত্যাদির বিষয়ে উল্লেখ আছে।
ফরহাদ হোসেন আরো জানান, কেউ যেন অপ্রয়োজনে বাসা থেকে বের না হয়, তাই মানুষের চলাচল সীমিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অনেকেই অনেক স্থানে এই মুহুর্তে আটকে আছেন। তাদেরকে গন্তব্যস্থলে ফেরার সুযোগ করে দেওয়ার উদ্দেশেই একদিন পর থেকে দেশে লকডাউন দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।